১৯ বছর বয়সী আমেরিকান পাইলট ইথান গুও, ২৫শে জুন, ২০২৫ থেকে অ্যান্টার্কটিকার কিং জর্জ দ্বীপে আটকে ছিলেন। তিনি লেফটেন্যান্ট রডলফো মার্শ বেসে অননুমোদিত অবতরণের পর এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হন। গুও সাতটি মহাদেশে একক যাত্রা করার অনুমোদিত ফ্লাইট পরিকল্পনা থেকে বিচ্যুত হয়েছিলেন, যার উদ্দেশ্য ছিল শৈশবের ক্যান্সারের গবেষণার জন্য তহবিল সংগ্রহ করা। চিলির কর্তৃপক্ষ গুওকে মিথ্যা ফ্লাইট প্ল্যান তথ্য প্রদান এবং অনুমতি ছাড়াই অবতরণের জন্য অভিযুক্ত করেছিল। তার আইনি দল জানিয়েছে যে অপ্রত্যাশিত ফ্লাইট জটিলতার কারণে তিনি পথ পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছিলেন। ১১ই আগস্ট, ২০২৫ তারিখে, গুও ৩০,০০০ ডলার একটি শিশু ক্যান্সার ফাউন্ডেশনে দান করতে এবং তিন বছরের জন্য চিলির ভূখণ্ডে প্রবেশ নিষিদ্ধ হওয়ার শর্তে সম্মত হওয়ার পর একজন বিচারক অভিযোগগুলি খারিজ করে দেন। বর্তমানে, গুও সামরিক ঘাঁটিতে রয়েছেন এবং শীতকালীন অনুকূল আবহাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন যাতে তিনি তার যাত্রা পুনরায় শুরু করতে পারেন।
গুও-এর এই বিশ্বব্যাপী মিশনটি একটি মহৎ উদ্দেশ্যে নিবেদিত ছিল। তিনি শৈশবের ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং তহবিল সংগ্রহের জন্য এই যাত্রা শুরু করেছিলেন। তার এই প্রচেষ্টা তাকে বিশ্বজুড়ে পরিচিতি এনে দিয়েছে, কিন্তু অ্যান্টার্কটিকার এই ঘটনা তার মিশনকে সাময়িকভাবে বাধাগ্রস্ত করেছে। অ্যান্টার্কটিকার আবহাওয়া অত্যন্ত পরিবর্তনশীল এবং এই সময়ে শীতকাল থাকায় গুও-এর প্রস্থানের জন্য উপযুক্ত আবহাওয়ার জন্য অপেক্ষা করা একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া হতে পারে। সাধারণত, অ্যান্টার্কটিকার শীতকালে তাপমাত্রা অনেক নিচে নেমে যায় এবং বিমান চলাচলের জন্য প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়। এই কারণে, গুও-এর বিমানটি কবে উড়তে পারবে তা আবহাওয়ার উপর নির্ভর করছে। গুও-এর এই ঘটনাটি বিমান চালনার ক্ষেত্রে নিয়মকানুন মেনে চলার গুরুত্ব এবং প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে। তার এই অভিজ্ঞতা থেকে এটি স্পষ্ট যে, যেকোনো দুঃসাহসিক অভিযানের আগে পুঙ্খানুপুঙ্খ পরিকল্পনা এবং সকল নিয়মকানুন সম্পর্কে অবগত থাকা অপরিহার্য।