প্রাগ চিড়িয়াখানার কর্মীরা দুটি অনাথ লেসার ইয়েলো-হেডেড শকুন ছানাকে বড় করে তোলার জন্য হাতে তৈরি পুতুল ব্যবহার করছেন। এই অভিনব পদ্ধতিটি ছানাগুলোকে মানুষের প্রতি আকৃষ্ট হওয়া থেকে বিরত রাখে, যা তাদের ভবিষ্যতের সামাজিক এবং প্রজননগত সাফল্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিড়িয়াখানার পাখি প্রজনন বিভাগের কিউরেটর আন্তোনিন ভাইডল জোর দিয়ে বলেছেন যে, সরাসরি মানুষের সংস্পর্শে এলে পাখিদের আচরণে দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এই পদ্ধতিটি প্রাগ চিড়িয়াখানায় অন্যান্য প্রজাতির ক্ষেত্রেও সফলভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে গণ্ডার হর্নবিল এবং জাভা সবুজ ম্যাগপাই। লেসার ইয়েলো-হেডেড শকুন প্রজননে প্রাগ চিড়িয়াখানা ইউরোপের মাত্র তিনটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি, যা এই শকুনদের সংরক্ষণের গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে তোলে। এই বিশেষ পদ্ধতিটি কেবল একটি কৌশল নয়, বরং এটি প্রকৃতির প্রতি মানুষের গভীর শ্রদ্ধার প্রতিফলন। এটি বোঝায় যে, আমরা যখন বন্যপ্রাণীদের তাদের স্বাভাবিক বিকাশে সহায়তা করার চেষ্টা করি, তখন তাদের নিজস্ব জগতে তাদের স্থান করে দেওয়াটাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। এই শকুন ছানাদের বড় করে তোলার এই প্রচেষ্টাটি কেবল একটি চিড়িয়াখানার রুটিন কাজ নয়, বরং এটি একটি বৃহত্তর সংরক্ষণের লক্ষ্যের অংশ। লেসার ইয়েলো-হেডেড শকুন একটি বিপন্ন প্রজাতি এবং তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি করা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য অপরিহার্য। এই ধরনের উদ্ভাবনী পদ্ধতিগুলি নিশ্চিত করে যে, এই সুন্দর পাখিরা কেবল বেঁচে থাকবে না, বরং তাদের প্রাকৃতিক পরিবেশে সফলভাবে বংশবৃদ্ধি করতেও সক্ষম হবে। এই প্রচেষ্টাগুলি আমাদের শেখায় যে, প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে কাজ করলে আমরাও উপকৃত হতে পারি এবং আমাদের চারপাশের জগতকেও সমৃদ্ধ করতে পারি। এটি একটি ইতিবাচক বার্তা দেয় যে, সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করলে আমরা বিপন্ন প্রজাতিদের রক্ষা করতে পারি এবং তাদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে পারি। এই উদ্যোগটি প্রমাণ করে যে, মানুষের সহানুভূতি এবং উদ্ভাবনী ক্ষমতা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে একটি বড় ভূমিকা পালন করতে পারে।