২৫শে আগস্ট, ২০২৫ তারিখে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ডিজিটাল কর আরোপকারী দেশগুলির বিরুদ্ধে শুল্ক এবং রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে। এই পদক্ষেপগুলি মূলত ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা, ব্রাজিল এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলিতে অবস্থিত আমেরিকান প্রযুক্তি সংস্থাগুলিকে প্রভাবিত করবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই পদক্ষেপগুলিকে মার্কিন প্রযুক্তি সংস্থাগুলির প্রতি বৈষম্যমূলক বলে অভিহিত করেছেন এবং প্রশাসন মার্কিন প্রযুক্তি ও সেমিকন্ডাক্টরগুলির উপর রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করার বিষয়টিও বিবেচনা করছে।
এই ঘোষণা বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি খাতের জন্য এক নতুন অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে, বিশেষ করে গুগল এবং মেটা প্ল্যাটফর্মের মতো বড় প্রযুক্তি স্টকগুলির উপর এর প্রভাব পড়তে পারে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্পষ্ট করেছেন যে, যে সকল দেশ আমেরিকান প্রযুক্তি সংস্থাগুলির উপর বৈষম্যমূলক ডিজিটাল কর বা নিয়ম আরোপ করবে, তাদের রপ্তানির উপর উল্লেখযোগ্য অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হবে এবং মার্কিন প্রযুক্তির রপ্তানির উপরও বিধিনিষেধ আরোপ করা হতে পারে।
এই পরিস্থিতি বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি সংস্থাগুলির সরবরাহ শৃঙ্খলের উপরও প্রভাব ফেলতে পারে। অনেক প্রযুক্তি সংস্থা তাদের উৎপাদন এবং সরবরাহের জন্য বিভিন্ন দেশের উপর নির্ভরশীল। শুল্ক এবং রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার ফলে এই সরবরাহ শৃঙ্খলে ব্যাঘাত ঘটতে পারে, যা পণ্যের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি এবং বাজারে সরবরাহে বিলম্ব ঘটাতে পারে। অ্যাপল, গুগল এবং মেটার মতো সংস্থাগুলি তাদের বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলের কারণে এই ধরনের পদক্ষেপের প্রতি বিশেষভাবে সংবেদনশীল।
এই উত্তেজনার মধ্যে, বিনিয়োগকারীরা বাজারের অস্থিরতা এবং সম্ভাব্য আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কায় সতর্ক রয়েছেন। প্রযুক্তি খাতের শেয়ারের দামে এর প্রভাব ইতিমধ্যেই দেখা যাচ্ছে এবং আগামী দিনে এই প্রবণতা অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এই পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পর্ক এবং বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি খাতের ভবিষ্যৎ গতিপথ নির্ধারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।