এমিনেমের নতুন ডকুমেন্টারি 'স্ট্যানস' বিশ্বব্যাপী দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এই চলচ্চিত্রটি, যা এমিনেমের নিজের প্রযোজনা এবং স্টিভেন লেকহার্ট পরিচালিত, তাঁর সবচেয়ে নিবেদিত ভক্তদের জীবনের উপর আলোকপাত করে। ২০০৯ সালের তাঁর বিখ্যাত গান 'স্ট্যান'-এর নামানুসারে তৈরি এই চলচ্চিত্রটি ভক্ত এবং শিল্পীর মধ্যকার জটিল সম্পর্ককে তুলে ধরেছে। 'স্ট্যানস' চলচ্চিত্রটি সম্প্রতি এসএক্সএসডব্লিউ লন্ডন স্ক্রিন ফেস্টিভ্যালে প্রিমিয়ার হয়েছে এবং এটি ৭-১০ আগস্ট, ২০২৫ পর্যন্ত সীমিত আকারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হবে। এছাড়াও, এটি ৫০টিরও বেশি দেশে ১,৬০০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাগৃহে দেখানো হবে। এই ব্যাপক প্রদর্শনী ভক্তদের প্রতি এমিনেমের গভীর সংযোগ এবং তাঁর সঙ্গীতের বিশ্বব্যাপী প্রভাবকে প্রমাণ করে।
চলচ্চিত্রটিতে এমিনেমের কর্মজীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে ভক্তদের ব্যক্তিগত গল্প, বিরল আর্কাইভাল ফুটেজ এবং পুনর্গঠিত দৃশ্য ব্যবহার করা হয়েছে। এই চলচ্চিত্রটি প্রায় ৯,০০০ এরও বেশি ভক্তের আবেদন থেকে ২০ জন নির্বাচিত ভক্তের উপর আলোকপাত করে, যারা এমিনেমের সঙ্গীত দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছেন। এদের মধ্যে নিকি, যিনি একজন শিল্পীর দ্বারা এমিনেমের সবচেয়ে বেশি ট্যাটু করার জন্য গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডধারী, এবং একজন ট্রান্স ভক্ত যিনি মার্শাল নামটি গ্রহণ করেছেন, তাঁদের মতো ব্যক্তিরাও রয়েছেন। ৬ আগস্ট, ২০২৫ তারিখে একটি বিশেষ প্রদর্শনীতে এমিনেমের অপ্রত্যাশিত উপস্থিতি দর্শকদের মধ্যে উষ্ণ অভ্যর্থনা লাভ করে। এই চলচ্চিত্র মুক্তির সাথে সাথে 'স্ট্যানস: দ্য অফিসিয়াল সাউন্ডট্র্যাক' প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে এমিনেমের কিছু অপ্রকাশিত গানও রয়েছে। এই সাউন্ডট্র্যাকটি ভক্তদের জন্য একটি বিশেষ উপহার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। 'স্ট্যানস' শুধুমাত্র এমিনেমের সঙ্গীত জীবনের একটি প্রতিফলন নয়, বরং এটি দেখায় কিভাবে একজন শিল্পী তাঁর ভক্তদের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলতে পারেন এবং কিভাবে ভক্তরা সেই প্রভাবকে নিজেদের জীবনের অংশ করে তোলেন। চলচ্চিত্রটি এমিনেমের কর্মজীবনের একটি নতুন দিক উন্মোচন করেছে, যেখানে ভক্তদের আবেগ, নিষ্ঠা এবং তাঁদের জীবনের উপর সঙ্গীতের প্রভাবকে কেন্দ্র করে একটি শক্তিশালী বার্তা দেওয়া হয়েছে।