বিলবোর্ড কর্তৃক ড্রেইককে একবিংশ শতাব্দীর সেরা R&B/হিপ-হপ শিল্পী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এই স্বীকৃতি ২০০০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তার সঙ্গীত জীবনের উল্লেখযোগ্য প্রভাবকে তুলে ধরেছে। ড্রেইক এই সময়ের মধ্যে হট R&B/হিপ-হপ গানের তালিকায় ৩০টি এবং টপ R&B/হিপ-হপ অ্যালবাম তালিকায় ১৫টি শীর্ষস্থান দখল করেছেন। তার অ্যালবামগুলো সম্মিলিতভাবে ৬৭ সপ্তাহ ধরে চার্টে আধিপত্য বিস্তার করেছে, যা তাকে এই ধারার অন্যতম প্রধান শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
২০০৯ সালে বিলবোর্ডের চার্টে প্রথমবার প্রবেশ করার পর মাত্র ১৫ বছরের মধ্যে ড্রেইক এই অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছেন। তিনি আটবার বিলবোর্ডের টপ R&B/হিপ-হপ আর্টিস্ট অফ দ্য ইয়ার নির্বাচিত হয়েছেন (২০১২, ২০১৫, ২০১৬, ২০১৭, ২০১৮, ২০২১, ২০২২ এবং ২০২৪ সালে)। তার এই দীর্ঘস্থায়ী জনপ্রিয়তা এবং প্রাসঙ্গিকতা সঙ্গীত জগতে তার ব্যতিক্রমী অবস্থান প্রমাণ করে। স্ট্রিমিংয়ের যুগে তার বিশ্বব্যাপী পরিচিতি বৃদ্ধি পেয়েছে, যা 'ওয়ান ডান্স', 'গডস প্ল্যান' এবং 'হটলাইন ব্লিং'-এর মতো গানগুলোকে বিশ্বব্যাপী চার্ট এবং প্লেলিস্টে আধিপত্য বিস্তারে সাহায্য করেছে।
ড্রেইকের এই স্বীকৃতির পাশাপাশি, বিলবোর্ডের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন বিয়ন্সে, যিনি সঙ্গীত ইতিহাসের অন্যতম প্রভাবশালী শিল্পী হিসেবে নিজের স্থান ধরে রেখেছেন। দ্য উইকেন্ড তৃতীয় স্থানে আছেন, যার স্বতন্ত্র সঙ্গীত বিশ্বব্যাপী চার্টগুলিতে আধিপত্য বিস্তার করেছে। ক্রিস ব্রাউন চতুর্থ এবং উশার পঞ্চম স্থানে রয়েছেন। এছাড়াও, লিল ওয়াইন, জে-জে, রিহানা, এমিনেম এবং আলিচা কিস এই তালিকার অন্যান্য প্রভাবশালী শিল্পী হিসেবে স্থান পেয়েছেন।
ড্রেইকের এই কৃতিত্ব কেবল চার্টে তার আধিপত্যকেই প্রমাণ করে না, বরং তিনি কীভাবে হিপ-হপ এবং R&B-এর সীমানা অতিক্রম করেছেন এবং নতুন প্রজন্মের শ্রোতাদের কাছে এই ধারাকে পৌঁছে দিয়েছেন, তাও তুলে ধরে। তার সঙ্গীত কেবল বিনোদনই নয়, এটি একটি প্রজন্মের সাংস্কৃতিক প্রতিচ্ছবিও বটে। ড্রেইকের এই দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব এবং সঙ্গীত জগতে তার অবদান তাকে একবিংশ শতাব্দীর R&B এবং হিপ-হপ ধারার অবিচ্ছেদ্য অংশ করে তুলেছে।