২০২৫ সালে ওরাকল কর্পোরেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সিটিও ল্যারি এলিসন তার উল্লেখযোগ্য উত্থানের মাধ্যমে বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছেন। জুন ২০২৫-এ তার আনুমানিক নিট সম্পদ দাঁড়িয়েছে ২৭৫.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা তাকে মার্ক জুকারবার্গ এবং জেফ বেজোসের মতো ব্যক্তিদের ছাড়িয়ে যেতে সাহায্য করেছে। এই অভূতপূর্ব বৃদ্ধি মূলত ওরাকলের ক্লাউড কম্পিউটিং এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ক্ষেত্রে অসাধারণ সাফল্যের দ্বারা চালিত হয়েছে।
এলিসনের এই সম্পদ বৃদ্ধি মূলত ওরাকলের শেয়ারের ৩২% বৃদ্ধির ফলস্বরূপ, যা এআই সমাধান এবং ক্লাউড পরিকাঠামো পরিষেবার ক্রমবর্ধমান চাহিদা দ্বারা সমর্থিত। এই অগ্রগতির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল ওপেনএআই এবং সফটব্যাংকের সাথে ওরাকলের কৌশলগত অংশীদারিত্ব, যা "স্টারগেট" নামে পরিচিত। এই প্রকল্পের লক্ষ্য হল আগামী চার বছরে এআই পরিকাঠামোতে ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগ করা। এলিসন উল্লেখ করেছেন যে "স্টারগেট" প্রকল্পের মাধ্যমে এআই ব্যবহার করে মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এমআরএনএ ক্যান্সার ভ্যাকসিন তৈরি করা সম্ভব হতে পারে।
জুলাই ২০২৫-এ, এলিসন ২৫১.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের নিট সম্পদ নিয়ে মার্ক জুকারবার্গকে অতিক্রম করে বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তিতে পরিণত হন। এই অর্জনকে ওরাকলের শেয়ার মূল্যের অসাধারণ বৃদ্ধি এবং এআই ও ক্লাউড সমাধানের ক্রমবর্ধমান চাহিদার ফলস্বরূপ দেখা হচ্ছে। তার আর্থিক সাফল্যের পাশাপাশি, এলিসন হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের লানাই দ্বীপের প্রায় সম্পূর্ণ অধিগ্রহণ (২০১২ সালে) এবং স্বাস্থ্য, পরিচ্ছন্ন শক্তি ও কৃষিতে উদ্ভাবনের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা একটি গবেষণা কেন্দ্র, এলিসন ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির উন্নয়নেও বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছেন।
সামগ্রিকভাবে, ২০২৫ সাল ল্যারি এলিসনের জন্য একটি ঐতিহাসিক বছর ছিল, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ক্লাউড পরিকাঠামো ক্ষেত্রে ওরাকলের তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাবকে আরও দৃঢ় করেছে এবং তাকে একজন শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এই সাফল্যগুলি কেবল তার ব্যক্তিগত সম্পদ বৃদ্ধিই করেনি, বরং প্রযুক্তি শিল্পে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে, যা ভবিষ্যতের উদ্ভাবনের পথ প্রশস্ত করবে।