প্রযুক্তি বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করে, চ্যাটজিপিটি (ChatGPT)-এর নির্মাতা ওপেনএআই (OpenAI) তাদের কর্মীদের শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহের পরিকল্পনা করছে। এই পদক্ষেপের ফলে কোম্পানিটির মূল্যায়ন ৫০০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই লেনদেনে সফটব্যাংক গ্রুপ (SoftBank Group), ড্রাগোনিয়ার ইনভেস্টমেন্ট গ্রুপ (Dragoneer Investment Group) এবং থ্রাইভ ক্যাপিটাল (Thrive Capital)-এর মতো বিনিয়োগকারীরা যুক্ত হতে পারে।
এই নতুন উদ্যোগটি ওপেনএআই-এর সাম্প্রতিক ৮.৩ বিলিয়ন ডলারের তহবিল সংগ্রহের পর এসেছে, যা কোম্পানিটির মূল্যায়ন ৩০০ বিলিয়ন ডলারে স্থির করেছিল। ওপেনএআই-এর বার্ষিক আয় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা জুন মাসে ১০ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে বর্তমানে ১৩ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে এবং ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ এটি ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
ওপেনএআই-এর সিইও স্যাম অল্টম্যান (Sam Altman) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় অতিরিক্ত বিনিয়োগের সম্ভাবনা সম্পর্কে অবগত আছেন এবং তিনি ঐতিহাসিক আর্থিক বুদবুদের সঙ্গে এর তুলনা করেছেন। এই সতর্কতা সত্ত্বেও, অল্টম্যান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অর্থনৈতিক সুবিধা সম্পর্কে আশাবাদী এবং ডেটা সেন্টার অবকাঠামোতে বড় ধরনের বিনিয়োগের পরিকল্পনাও জানিয়েছেন।
এই শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে বর্তমান ও প্রাক্তন কর্মীরা তাদের শেয়ার বিক্রি করে নগদ অর্থ পেতে পারবেন, যা তাদের জন্য একটি বড় সুযোগ। এই ধরনের সেকেন্ডারি মার্কেট ডিল কোম্পানিকে পাবলিক হওয়ার চাপ ছাড়াই কর্মীদের ইকুইটি নগদায়নের সুযোগ দেয়। ওপেনএআই বর্তমানে প্রযুক্তি জগতে সবচেয়ে মূল্যবান প্রাইভেট কোম্পানিগুলোর মধ্যে অন্যতম, যা স্পেসএক্স (SpaceX)-এর মতো কোম্পানিকেও ছাড়িয়ে গেছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বাজার দ্রুত প্রসারিত হচ্ছে, যেখানে ওপেনএআই একটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বাজার ১.৭ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে। এই ক্রমবর্ধমান বাজার এবং ওপেনএআই-এর উদ্ভাবনী ক্ষমতা তাদের এই অভূতপূর্ব মূল্যায়নের দিকে চালিত করছে। তবে, অল্টম্যানের সতর্কতার মতো, এই খাতের অতিরিক্ত মূল্যায়ন নিয়েও প্রশ্ন উঠছে, যা ভবিষ্যতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয়।