কর্মক্ষেত্রে পোষ্য: চেক প্রজাতন্ত্র এবং সুইজারল্যান্ডে লোমশ সহকর্মীদের গ্রহণ

সম্পাদনা করেছেন: Екатерина С.

ইউরোপ জুড়ে কর্মক্ষেত্রে পোষা প্রাণীর গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে, যা কর্মীদের মধ্যে মানসিক চাপ কমাতে এবং সামগ্রিক সুস্থতা বাড়াতে সহায়ক বলে প্রমাণিত হয়েছে। চেক প্রজাতন্ত্রে প্রায় ৪০% মানুষ কর্মক্ষেত্রে কুকুর এবং বিড়াল রাখার পক্ষে, যেখানে সুইজারল্যান্ডে ৭০% কর্মচারী মনে করেন যে অফিসে কুকুর থাকলে মানসিক চাপ কমে। কুকুর মালিকদের মধ্যে এই হার ৮০% পর্যন্ত বেড়ে যায়।

কর্মক্ষেত্রে পোষা প্রাণীর উপস্থিতি বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করে। এগুলি কেবল মানসিক চাপই কমায় না, কর্মীদের সন্তুষ্টিও বাড়ায় এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতেও সহায়ক হতে পারে। ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটির একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে মাত্র ১০ মিনিট একটি কুকুরের সাথে সময় কাটালে মানসিক চাপ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়। এর কারণ হল, যখন আমরা কোনও প্রাণীকে আদর করি, তখন আমাদের শরীর অক্সিটোসিন নামক একটি হরমোন নিঃসরণ করে, যা মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে। এটি কর্মীদের আরও স্পষ্টভাবে চিন্তা করতে এবং কঠিন কর্মদিবসে তাদের কাজে মনোনিবেশ করতে সহায়তা করে।

বাড়িতে থেকে কাজ করার সময়, বিশেষ করে বিড়াল পোষা ব্যক্তিদের জন্য, একটি নির্দিষ্ট কর্মক্ষেত্র তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ যা আপনার বিড়াল বন্ধুর জন্য সীমাবদ্ধ থাকবে। নিয়মিত খেলার বিরতি বিড়ালকে ব্যস্ত রাখতে এবং মনোযোগের বিক্ষেপ কমাতে সহায়ক। বিড়ালদের জন্য আরামদায়ক বসার জায়গা, যেমন একটি নরম বিছানা বা জানালার ধারে একটি বসার স্থান তৈরি করা যেতে পারে। এছাড়াও, তাদের ব্যস্ত রাখার জন্য খেলনা এবং স্ক্র্যাচিং পোস্ট সরবরাহ করা উচিত। তারের এবং ছোট বস্তুগুলি সাবধানে গুছিয়ে রাখা উচিত যাতে বিড়াল তাদের সাথে খেলতে গিয়ে কোনও বিপদে না পড়ে।

সুইজারল্যান্ডে, একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ কর্মচারী মনে করেন যে অফিসে কুকুর থাকলে কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ, সন্তুষ্টি, কাজের-জীবনের ভারসাম্য, সুস্থতা এবং সহকর্মীদের মধ্যে মিথস্ক্রিয়া উন্নত হয়। প্রায় তিন-চতুর্থাংশ কর্মচারী বলেছেন যে কুকুরের সাথে বিরতি নেওয়া আরও উপভোগ্য, এবং কুকুর মালিকদের মধ্যে এই হার ৯৩% এর বেশি।

তবে, কর্মক্ষেত্রে পোষা প্রাণী আনার কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। অ্যালার্জি একটি বড় উদ্বেগের বিষয়, কারণ কিছু কর্মচারীর পোষা প্রাণীর লোমে সংবেদনশীলতা থাকতে পারে। এছাড়াও, কিছু পোষা প্রাণী কর্মক্ষেত্রে বিঘ্ন ঘটাতে পারে, যেমন অতিরিক্ত ঘেউ ঘেউ করা বা আসবাবপত্র নষ্ট করা। এই সমস্যাগুলি মোকাবেলার জন্য, সংস্থাগুলির একটি স্পষ্ট পোষ্য নীতি থাকা উচিত যা নিয়মাবলী নির্ধারণ করে, যেমন টিকা দেওয়ার প্রমাণ, নির্দিষ্ট পোষ্য-বান্ধব এলাকা এবং পোষা প্রাণীর আচরণের মান।

সামগ্রিকভাবে, চেক প্রজাতন্ত্র এবং ইউরোপের অন্যান্য দেশে কর্মক্ষেত্রে পোষা প্রাণীর গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে। এই পরিবর্তন একটি কর্মক্ষেত্রের সংস্কৃতি তৈরি করতে পারে যা কর্মচারী এবং তাদের পশমযুক্ত সঙ্গীদের উভয়ের সুস্থতার প্রতি আরও বেশি মনোযোগী।

উৎসসমূহ

  • saechsische.de

  • Deutscher Tierschutzbund

  • Fressnapf Magazin

  • Blick.ch

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।