সাম্প্রতিক গবেষণাগুলি ইঙ্গিত দেয় যে বিশেষভাবে তৈরি সঙ্গীত বিড়ালদের মানসিক সুস্থতার উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, তাদের মানসিক চাপ কমাতে এবং আচরণ উন্নত করতে সাহায্য করে। একটি ২০১৯ সালের গবেষণা, যা 'জার্নাল অফ ফেলিন মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি'-তে প্রকাশিত হয়েছিল, দেখায় যে বিড়ালদের জন্য তৈরি নির্দিষ্ট সঙ্গীত পশুচিকিৎসা পরিদর্শনের সময় তাদের মানসিক চাপ কমাতে সহায়ক। এই গবেষণায় ব্যবহৃত সুরগুলির মধ্যে 'স্কুটার বেরেস এরিয়া' এবং গ্যাব্রিয়েল ফোরির 'এলেজি' অন্তর্ভুক্ত ছিল।
আমেরিকান সুরকার এবং গবেষক ডেভিড টিয়ে একটি অ্যালবাম তৈরি করেছেন যার নাম 'মিউজিক ফর ক্যাটস'। এই অ্যালবামে 'লোলো'স এয়ার' এবং 'কেটী মস ক্যাটওয়াক'-এর মতো ট্র্যাক রয়েছে। এই সুরগুলি বিড়ালদের শ্রবণ চাহিদা মেটাতে ডিজাইন করা হয়েছে, যেখানে তাদের পরিচিত প্রাকৃতিক শব্দের ফ্রিকোয়েন্সি এবং ছন্দের অনুকরণ করা হয়েছে। আরও একটি ২০২১ সালের সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ৭০% কুকুর এবং বিড়াল মালিক তাদের পোষা প্রাণীর আচরণে পরিবর্তন লক্ষ্য করেছেন যখন তারা বিভিন্ন ধরণের সঙ্গীত শুনেছে। প্রায় ৩০% কুকুর মালিক তাদের পোষা প্রাণীর উদ্বেগ কমাতে সঙ্গীত ব্যবহার করেন যখন তারা বাড়িতে একা থাকে।
তবে, সব বিড়াল সঙ্গীতের প্রতি একইভাবে সাড়া দেয় না। কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, বিড়ালরা সেইসব সঙ্গীতের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয় যা তাদের পরিচিত প্রাকৃতিক শব্দের অনুকরণ করে, যেমন শিকারের শব্দ বা বিড়ালের গোঁ গোঁ শব্দ। গবেষণায় দেখা গেছে যে বিড়ালরা মানুষের সঙ্গীতের চেয়ে তাদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি সুরের প্রতি বেশি আগ্রহ দেখায়। এই বিশেষ সঙ্গীতগুলি প্রায়শই বিড়ালের গোঁ গোঁ শব্দ বা পাখির কিচিরমিচির শব্দের মতো ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়, যা তাদের জন্য আরও আকর্ষণীয়।
ডেভিড টিয়ে-র মতো সুরকাররা বিড়ালের শ্রবণ ক্ষমতার কথা মাথায় রেখে সঙ্গীত তৈরি করেছেন, যা তাদের শান্ত ও শিথিল করতে সাহায্য করে। সুতরাং, বিড়ালদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি সঙ্গীত তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়ক হতে পারে, বিশেষ করে পশুচিকিৎসা পরিদর্শনের মতো পরিস্থিতিতে। তবে, প্রতিটি বিড়ালের প্রতিক্রিয়া ভিন্ন হতে পারে, তাই মালিকদের উচিত তাদের পোষা প্রাণীর আচরণ পর্যবেক্ষণ করে তাদের পছন্দের সঙ্গীত খুঁজে বের করা।