নামিবিয়াতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও কোডিং শিক্ষার প্রসার: আফ্রিকা-এশিয়া যুব কোডিং উদ্যোগের দ্বিতীয় পর্যায়

সম্পাদনা করেছেন: Olga Samsonova

নামিবিয়া আফ্রিকা-এশিয়া যুব কোডিং উদ্যোগের দ্বিতীয় পর্যায় শুরু করেছে, যা দেশের আনুষ্ঠানিক শিক্ষাব্যবস্থায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এবং কোডিং দক্ষতা অন্তর্ভুক্ত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। UNESCO, চীনের কোডিং শিক্ষা সংস্থা CODEMAO এবং নামিবিয়ার শিক্ষা, উদ্ভাবন, যুব, ক্রীড়া, শিল্পকলা ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে এই উদ্যোগটি দেশের তরুণ প্রজন্মকে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে দক্ষ করে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে। প্রথম পর্যায়ে ৩,০০০-এর বেশি তরুণ এবং ৩৫০ জন শিক্ষকের অংশগ্রহণের পর, দ্বিতীয় পর্যায়টি ২০২৯ সালের মধ্যে জাতীয় পাঠ্যক্রমে কোডিং এবং AI-কে একীভূত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে, যা দেশের সকল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (ICT) শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করবে।

এই উদ্যোগটি নামিবিয়ার ষষ্ঠ জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা (NDP6)-এর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ, যার মূল লক্ষ্য আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করা। NDP6-এর অধীনে, দেশের প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ ২৮% থেকে ৭০%-এ উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে, এবং এই কোডিং উদ্যোগটি সেই লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। UNESCO এই পর্যায়ের জন্য দীর্ঘমেয়াদী ও টেকসই প্রভাবের উপর জোর দিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে পাঠ্যক্রম সংস্কার এবং শিক্ষকদের জন্য ব্যাপক প্রশিক্ষণ। শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে শেখার অভিজ্ঞতা উন্নত করার জন্য, ৮টি নির্বাচিত স্কুলে CODEMAO-এর কোডিং সফটওয়্যারসহ ২০০টি OPPO ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে। এই পদক্ষেপটি শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উভয়ের জন্যই অত্যাবশ্যকীয় ডিজিটাল সরঞ্জামগুলির ব্যবহার সহজলভ্য করেছে। এই আফ্রিকা-এশিয়া যুব কোডিং উদ্যোগটি শিক্ষাক্ষেত্রে ICT শক্তিশালী করার জন্য UNESCO-এর বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার একটি অংশ, যার উদ্দেশ্য হল উদীয়মান প্রযুক্তিতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা এবং আফ্রিকা ও এশিয়ায় কোডিং শিক্ষার জন্য টেকসই পরিবেশ তৈরি করা। নামিবিয়ার শিক্ষাব্যবস্থায় কোডিং এবং AI-এর একীকরণ দেশটির তরুণদের একবিংশ শতাব্দীর কর্মজীবনের জন্য প্রস্তুত করার একটি কৌশলগত পদক্ষেপ। ডিজিটাল দক্ষতা বৃদ্ধিতে এই মনোযোগ দেশের দীর্ঘমেয়াদী জাতীয় উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই উদ্যোগটি কেবল প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি উদ্ভাবন, সৃজনশীলতা এবং সমস্যা সমাধানের ক্ষমতাকেও উৎসাহিত করে, যা তরুণদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করবে। এই উদ্যোগটি মহাদেশ জুড়ে অনুরূপ সহযোগিতার জন্য একটি অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা আফ্রিকার ডিজিটাল বিভাজন কমাতে এবং তরুণদের ভবিষ্যতের সুযোগের জন্য প্রস্তুত করতে সহায়ক হবে।

উৎসসমূহ

  • New Era Live

  • Namibia launches Phase II of Africa Asia Youth Coding initiative-Xinhua

  • UNESCO-CODEMAO “Youth Coding Initiative” | UNESCO

  • CODEMAO and UNESCO launched AI Day and Youth Coding Initiative Phase 2 -- Africa and Asia join hands to promote educational equity in the age of AI – UNESCO IITE

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।