রিও নেগ্রো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় (UNRN) তাদের আল্টো ভ্যালে এবং ভ্যালে মেডিয়ো ক্যাম্পাসে খাদ্য শিক্ষা পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র (OdEA) প্রতিষ্ঠা করেছে, যার প্রধান লক্ষ্য হলো জনগণের খাদ্যাভ্যাসকে সামাজিক পরিবর্তনের পথে চালিত করা। এই উদ্যোগটি কেবল একটি প্রাতিষ্ঠানিক পদক্ষেপ নয়, বরং এটি মানুষের পুষ্টিকে একটি জটিল বিষয় হিসেবে গভীর উপলব্ধির ফসল, যা উদ্ভাবন এবং শিক্ষামূলক রূপান্তরের বিশাল সম্ভাবনা বহন করে। কেন্দ্রটি আঞ্চলিক, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে একটি মানদণ্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করবে বলে পরিকল্পনা রয়েছে।
OdEA-এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন ডঃ নোরা বাহামন্ডে, যিনি ২০১০ সাল থেকে খাদ্য শিক্ষা নিয়ে গবেষণা করছেন। পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের মূল কাজ হবে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক উভয় ক্ষেত্রেই খাদ্য শিক্ষার উন্নতি সাধনের জন্য চলমান শিক্ষামূলক প্রকল্পগুলির জরিপ করা এবং সেই জ্ঞান সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া। এই বহু-বিষয়ক দলে ডঃ এডুয়ার্ডো লোজানো এবং গবেষক জুয়ান কার্লোস পিন্টোস, লরা ডিলন, এবং মারিনা আলেহান্দ্রা হেনরিকেজ-এর মতো ব্যক্তিত্বরা রয়েছেন। তাদের সাথে জীববিদ্যা, দন্তচিকিৎসা এবং খাদ্য প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থীরাও যুক্ত, যা এই উদ্যোগের আন্তঃবিভাগীয় শক্তির প্রতিফলন ঘটায়।
এই গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ২০২৫ সালের ১৭ই অক্টোবর জেনারেল রকায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা, যা আঞ্চলিক জীববিজ্ঞান শিক্ষণ সম্মেলনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। এই সময়কালটি একটি নতুন পথের সূচনা চিহ্নিত করে, যেখানে সমাজের সামনে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয় যে খাদ্যের গুণগত মান এবং তা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক অধিকার এবং ভবিষ্যতের সুস্থতার ভিত্তি। এই ধরনের পদক্ষেপ আর্জেন্টিনার বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনকে নির্দেশ করে।
জাতীয় পর্যায়ে, আইন নং ২৭,৬৪২ (২০২২ সালে কার্যকর) স্বাস্থ্যকর খাদ্যের প্রচারের জন্য কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে প্যাকেজিং-এর সামনে সতর্কতামূলক লেবেলিং এবং বিদ্যালয়ে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যের বিপণন নিয়ন্ত্রণ। উদাহরণস্বরূপ, চিলি ২০১৬ সালে প্রথম এই ধরনের লেবেলিং শুরু করার পর আর্জেন্টিনা এখন ছয়টি দেশের মধ্যে রয়েছে যারা এই নীতি গ্রহণ করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুদের মধ্যে স্থূলতার হার একটি গুরুতর উদ্বেগের বিষয়; ২০১৯ সালে, ৫ থেকে ১০ বছর বয়সী শিশুদের ৪১ শতাংশ অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতায় ভুগছিল। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায়, OdEA-এর মতো কেন্দ্রগুলি কেবল তথ্য সরবরাহ করবে না, বরং শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে মানুষের ভেতরের বোঝাপড়াকে উন্নত করবে যাতে তারা নিজেদের জন্য সঠিক পথ বেছে নিতে সক্ষম হয়। এই পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রটি সেই অভ্যন্তরীণ পরিবর্তনের অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে, যা মানবসম্পদ প্রশিক্ষণের একটি ধারাবাহিক ধারা তৈরি করতে চায়, যা এই গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে বিশেষায়িত কর্মী তৈরি করবে।