২০২৫ সালে 'ফুড চ্যালেঞ্জ' তার ষষ্ঠ সংস্করণে প্রবেশ করতে চলেছে, যার মূল লক্ষ্য ডাচ শিক্ষা ব্যবস্থায় স্থায়িত্ব এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসকে আরও শক্তিশালী করা। এই উদ্যোগের জন্য স্কুলগুলির নিবন্ধনের শেষ তারিখ ১৫ই অক্টোবর, ২০২৫। ১৩টি ভোকেশনাল কলেজ (mbo) এই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পটি পরিচালনা করছে, যারা খাদ্য ও জীবনধারা খাতে বিশেষজ্ঞ এবং দেশের সাতটি প্রদেশে তাদের কার্যক্রম বিস্তৃত করেছে। এই কলেজগুলি উত্তর ও মধ্য নেদারল্যান্ডসের মোট ২৩টি প্রাক-ভোকেশনাল সেকেন্ডারি শিক্ষা (vmbo), প্র্যাকটিক্যাল এবং বিশেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেবে।
প্রকল্পের অংশ হিসেবে, ভোকেশনাল শিক্ষার্থীরা তরুণ শিক্ষার্থীদের সাথে মিলে টেকসই পোকে বাটি (poké bowls) তৈরি করবে এবং সুষম পুষ্টি প্রচারের উদ্দেশ্যে 'হুইল অফ ফাইভ' (wheel of five) গেমে অংশগ্রহণ করবে। এছাড়াও, শিক্ষার্থীরা খামার পরিদর্শন করবে যেখানে তারা বুটক্যাম্পে অংশ নেবে এবং খামারের উপকরণ ব্যবহার করে নিজেদের পনির ও পিৎজা তৈরি করার অভিজ্ঞতা লাভ করবে। লুই বোলক ইনস্টিটিউট (Louis Bolk Institute) দ্বারা পরিচালিত একটি প্রভাব মূল্যায়ন নিশ্চিত করেছে যে 'ফুড চ্যালেঞ্জ'-এ অংশগ্রহণের ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্থায়িত্ব সম্পর্কে জ্ঞানের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ঘটেছে। এই অংশগ্রহণের ফলে স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার অভ্যাসও উৎসাহিত হয়, যেখানে শিক্ষার্থীরা চ্যালেঞ্জের পরে শারীরিক কার্যকলাপ বৃদ্ধির কথা জানিয়েছে। অর্ধেকেরও বেশি শিক্ষার্থী এই চ্যালেঞ্জকে উপভোগ্য বলে মনে করে, বিশেষ করে হাতে-কলমে খাবার তৈরির কার্যক্রম তাদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়।
ভোকেশনাল শিক্ষার্থীরাও এই প্রোগ্রাম থেকে উপকৃত হয়। তারা স্থায়িত্ব এবং পুষ্টি বিষয়ে ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা অর্জন করে, পাশাপাশি তাদের উপস্থাপনা এবং সামাজিক দক্ষতা বিকশিত হয়। তরুণ শিক্ষার্থীদের সাথে তাদের এই মিথস্ক্রিয়া ভোকেশনাল প্রশিক্ষণে ভর্তির হার বৃদ্ধিতেও সহায়ক ভূমিকা পালন করে, যা দক্ষ কারিগরি কর্মীর ঘাটতি পূরণে সহায়তা করে। লেককারবোয়ার (LekkerBoer) দ্বারা ভোকেশনাল কলেজগুলির সহযোগিতায় আয়োজিত এই 'ফুড চ্যালেঞ্জ' বিভিন্ন সংস্থা এবং স্থানীয় সরকারের সহায়তায় পরিচালিত হচ্ছে।
২০২৬ সালে সর্বোচ্চ ২৫টি স্কুল এই কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবে এবং নিবন্ধনের জন্য ১৫ই অক্টোবর পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উদ্যোগটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে খাদ্য উৎপাদন, পুষ্টি এবং পরিবেশগত প্রভাব সম্পর্কে গভীর উপলব্ধি তৈরি করে, যা তাদের ভবিষ্যৎ জীবনে স্বাস্থ্যকর ও টেকসই সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করবে। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কেবল খাদ্য প্রস্তুতের কৌশলই শেখে না, বরং খাদ্য উৎপাদনের পেছনের গল্প এবং পরিবেশের উপর এর প্রভাব সম্পর্কেও অবগত হয়, যা তাদের মধ্যে এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে।