মিলানের দক্ষিণ-পশ্চিম শহরতলিতে ছয় বছর ধরে সাপ্তাহিক ভিত্তিতে কিশোর-কিশোরীদের একটি দল 'আজিয়োন সলিডাল' পরিচালিত একটি কেন্দ্রে মিলিত হত। এই কেন্দ্রটি তাদের জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সাক্ষী থেকেছে। তাদের সম্মিলিত অভিজ্ঞতাকে কেন্দ্র করে 'যখন আমরা সবকিছু হতে পারতাম' (Quando potevamo ancora essere tutto) নামক একটি উপন্যাস রচিত হয়েছে, যা মে ২০২৫-এ জিয়াংগিয়াকোমো ফেলট্রিনেলি ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত হয়েছে।
লেখক নিকোলেটা বোর্টোলোটি তাদের গল্পগুলোকে একত্রিত করেছেন, যেখানে একজন সহায়ক প্রাপ্তবয়স্কের অবিচল উপস্থিতি এবং কেন্দ্রের শিক্ষাগত পদ্ধতির প্রতিফলন ঘটেছে। উপন্যাসে ইলারিয়ার মতো চরিত্ররা উপস্থিত, যিনি ২৩ বছর বয়সী এক ছাত্রী ও তরুণী মা; ভিক্টোরিয়া, যিনি শৈশব শিক্ষাবিদ হিসেবে কাজ করেন এবং ফাইন আর্টস একাডেমিতে ভর্তির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন; এবং ফায়সাল, যিনি ২৪ বছর বয়সী একজন আইটি পরামর্শদাতা এবং সিডি ক্রেটাকে তার উচ্চশিক্ষার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য কৃতিত্ব দেন।
উপন্যাসের শিরোনামটি মিশেলা মুরগিয়ার একটি উক্তির প্রতিধ্বনি বহন করে: "ষোল থেকে বিশ বছর বয়সের মধ্যে তৈরি হওয়া বন্ধুত্ব জীবনের এক অনন্য অভিজ্ঞতা, যা আর কখনও ফিরে আসে না। জীবনে আরও অনেক বন্ধুত্ব তৈরি হবে, এমনকি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণও, কিন্তু যারা তোমাকে সেই সময়ে দেখেছিল যখন তুমি সবকিছু হতে পারতে... সেই মুহূর্ত আর পুনরাবৃত্তি হয় না।"
এই বইটি অনলাইন এবং বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাচ্ছে। মিলানের জিয়্যাম্বেলিনো এবং ব্যাজিও-র মতো এলাকাগুলিতে সক্রিয় এই কেন্দ্রটি তরুণদের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করেছে, তাদের জীবনের কঠিন সময়ে পথ দেখিয়েছে এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করেছে। আজিয়োন সলিডাল-এর মতো সংস্থাগুলি এই ধরনের কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে তরুণদের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে, তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং সামাজিক অন্তর্ভুক্তিতে সহায়তা করে। এই উপন্যাসটি কেবল কৈশোরের ব্যক্তিগত যাত্রারই প্রতিচ্ছবি নয়, বরং এটি একটি সম্প্রদায়ের মধ্যে বেড়ে ওঠা, একে অপরের কাছ থেকে শেখা এবং নিজেদের সম্ভাবনার পূর্ণ বিকাশের এক সুন্দর নিদর্শন। এটি দেখায় যে কীভাবে একটি সহায়ক পরিবেশ তরুণদের তাদের স্বপ্ন পূরণে এবং জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে অনুপ্রাণিত করতে পারে।