শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৃষ্টিশীলতা এবং ভিজ্যুয়াল স্টোরিটেলিং-এর দক্ষতা বাড়াতে গ্লোবাল স্কুলস গ্রুপ (GSG) তাদের গ্লোবাল স্কুলস নাইকন স্কুল অফ ক্রিয়েটিভিটি (Global Schools Nikon School of Creativity)-এর পরিধি বাড়িয়েছে। ভারতের নয়ডা এবং আহমেদাবাদে অবস্থিত দুটি অতিরিক্ত গ্লোবাল ইন্ডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (GIIS) ক্যাম্পাসে নতুন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এর আগে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে নাগপুরের GIIS-এ এই উদ্যোগের সফল সূচনা হয়েছিল। এই উদ্যোগটি GIIS এবং Nikon India-এর মধ্যে একটি অগ্রণী সহযোগিতা। Nikon India, যা ইমেজিং এবং অপটিক্স প্রযুক্তিতে বিশ্বজুড়ে পরিচিত, এই প্রথম কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে অংশীদারিত্ব করেছে।
এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হল ভারতের শিক্ষার্থীদের উন্নত ফটোগ্রাফি প্রশিক্ষণ প্রদান করা, যা তাদের সৃষ্টিশীল প্রকাশ এবং ডিজিটাল সাক্ষরতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। এই পাঠ্যক্রমে শিক্ষার্থীদের ভিজ্যুয়াল স্টোরিটেলার (visual storyteller) হিসেবে গড়ে তোলার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে তারা ক্যামেরার কারিগরি দিক, ছবির কম্পোজিশন এবং গল্প বলার কৌশল শিখবে। অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে হাতে-কলমে শেখার সুযোগ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৃষ্টিশীলতা, আত্মবিশ্বাস এবং আত্মপ্রকাশের ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলবে। এই প্রোগ্রামটি শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস এবং স্বতন্ত্রতা বিকাশে সহায়তা করে। ফটোগ্রাফিকে তারা চিন্তা, পরিচিতি এবং সহানুভূতির মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে শিখবে। এই পদ্ধতি GIIS-এর সামগ্রিক বিকাশের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটায় এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করে তোলে। ভিজ্যুয়াল স্টোরিটেলিং-এর গুরুত্ব অপরিসীম, কারণ এটি শিক্ষার্থীদের তথ্যকে আরও কার্যকরভাবে বুঝতে এবং মনে রাখতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, মানুষ লিখিত তথ্যের চেয়ে ভিজ্যুয়াল তথ্য ৬০,০০০ গুণ দ্রুত প্রক্রিয়া করতে পারে। এই দক্ষতা শিক্ষার্থীদের কেবল ছবি তোলার কৌশলই শেখায় না, বরং তাদের চারপাশের জগতকে একটি নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে এবং নিজেদের ভাবনা ও অনুভূতিকে শৈল্পিকভাবে প্রকাশ করতে উৎসাহিত করে। Nikon India-এর এই উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতাগুলি বিকাশে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।