২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষে স্পেনের আলমেরিয়ায় ৯৯% দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী মূলধারার স্কুলে অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার অংশ হিসেবে তাদের পড়াশোনা শুরু করেছে। এই উদ্যোগটি ONCE (স্প্যানিশ সংস্থা) এবং আঞ্চলিক শিক্ষা কর্তৃপক্ষের সহায়তায় পরিচালিত হচ্ছে, যেখানে মোট ১৭৪ জন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী অন্তর্ভুক্ত। এই শিক্ষার্থীরা বিশেষ শিক্ষাগত সহায়তা দলের মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছে। আন্দালুসিয়ায়, ONCE মোট ১,৭২১ জন শিক্ষার্থীকে সহায়তা করছে, যা ১২৪ জন শিক্ষকের মাধ্যমে সমন্বিত হয়। দেশব্যাপী, ONCE প্রায় ৭,২৫০ জন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে সহায়তা প্রদান করে।
এই বছরটি ব্রেইল পদ্ধতির ২০০তম বার্ষিকীও উদযাপন করছে। ১৮২৪ সালে লুই ব্রেইল কর্তৃক উদ্ভাবিত এই স্পর্শভিত্তিক লিখন পদ্ধতিটি জ্ঞান, সংস্কৃতি এবং সমান সুযোগের এক অপরিহার্য মাধ্যম। ব্রেইল দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তি এবং স্বায়ত্তশাসনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এই উপলক্ষে, যুক্তরাজ্যে "ব্রেইল অ্যান্ড বিয়ন্ড" ট্যুর এবং ইউরোপীয় ব্লাইন্ড ইউনিয়নের "ব্রেইল ২০০" উদ্যোগের মতো স্মারক অনুষ্ঠান আয়োজিত হচ্ছে, যা ব্রেইল-অনুপ্রাণিত সৃজনশীল অবদানের জন্য উৎসাহিত করছে। এই উদ্যোগগুলি অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার প্রসারে এবং বিভিন্নভাবে লিখিত তথ্য গ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরে।
ONCE ব্রেইল পাঠ্যপুস্তক এবং অ্যাক্সেসযোগ্য প্রযুক্তির মতো সম্পদ সরবরাহ করে চলেছে, যাতে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা শিক্ষাগত উপকরণের সমান সুযোগ পায়। তাদের ব্যক্তিগত বিকাশ এবং সামাজিক অংশগ্রহণের জন্য ব্রেইলের উপস্থিতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ONCE-এর বহুবিভাগীয় দলগুলি শিক্ষার্থীদের এবং পরিবারগুলিকে নিয়মিত শিক্ষাগত পরিবেশে কার্যকরভাবে অন্তর্ভুক্তির জন্য সহায়তা প্রদান করে। লুই ব্রেইল, একজন ফরাসি শিক্ষাবিদ, ১৮২৪ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে এই স্পর্শভিত্তিক লিখন পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। এটি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য জ্ঞান, সংস্কৃতি এবং সমান সুযোগের দ্বার উন্মোচন করেছে। ব্রেইল কেবল একটি লিখন পদ্ধতিই নয়, এটি একটি শক্তিশালী হাতিয়ার যা শিক্ষা, স্বাধীনতা এবং ক্ষমতায়নের পথ খুলে দেয়।
ব্রেইল সাক্ষরতা কেবল পঠন দক্ষতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি দৈনন্দিন জীবনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। লেবেল পড়া থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত অর্থ পরিচালনা পর্যন্ত, ব্রেইল দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আত্মবিশ্বাসের সাথে কাজগুলি সম্পাদন করতে সক্ষম করে। কর্মসংস্থানের সুযোগের ক্ষেত্রেও ব্রেইল দক্ষতা বৃদ্ধি করে, যা ক্যারিয়ারের বিকল্পগুলি প্রসারিত করে। ব্রেইল শুধুমাত্র শিক্ষাগত ক্ষেত্রেই নয়, বরং এটি দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন কাজেও সহায়ক। এটি ব্যক্তিদের স্বাধীনভাবে তথ্য অ্যাক্সেস করতে, গবেষণা করতে এবং তাদের শেখার পরিবেশের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে সক্ষম করে। যদিও টেক্সট-টু-স্পিচ এবং অন্যান্য সহায়ক প্রযুক্তি উপলব্ধ রয়েছে, ব্রেইল এখনও একটি অপরিহার্য সাক্ষরতা সরঞ্জাম হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি কেবল জ্ঞান অর্জনের একটি মাধ্যমই নয়, বরং এটি আত্মবিশ্বাস এবং সামাজিক অংশগ্রহণের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।