মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ ইরানের তেল বাণিজ্যের সাথে জড়িত ১১৫ জনের বেশি ব্যক্তি ও সত্তার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে । এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হল ইরানের তেল থেকে অর্জিত রাজস্ব হ্রাস করা ।
এই নিষেধাজ্ঞার ফলে মোহাম্মদ হোসেন শামখানির নিয়ন্ত্রণাধীন একটি শিপিং নেটওয়ার্ক বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করা হচ্ছে । এই নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, এটি ইরানের তেল বিভিন্ন গন্তব্যে, প্রধানত চীনে পরিবহনের সুবিধা দিয়ে থাকে ।
নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও, চীন ইরানের তেলের অন্যতম প্রধান ক্রেতা হিসেবে রয়ে গেছে । চীনের পরিশোধন কেন্দ্রগুলো প্রায়শই তেলের উৎস গোপন করার জন্য জাহাজ থেকে জাহাজে তেল স্থানান্তর করে থাকে ।
মার্কিন ট্রেজারি কর্মকর্তারা চীনকে নিষেধাজ্ঞাযুক্ত তেল কেনা অব্যাহত রাখলে তার পরিণতির বিষয়ে সতর্ক করেছেন ।
বিশ্লেষণে দেখা যায়, এই নিষেধাজ্ঞাগুলি ইরানের তেল রাজস্ব কমাতে পারে । এই নিষেধাজ্ঞাগুলির কারণে সমুদ্র পরিবহন খরচ বাড়তে পারে এবং ইরানের বাণিজ্যে জড়িত জাহাজগুলোর জন্য বীমা পাওয়া কঠিন হয়ে যেতে পারে ।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপ ইরানের অর্থনীতি এবং আঞ্চলিক কার্যকলাপকে প্রভাবিত করবে ।
2025 সালের জুলাই মাসে, মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট ইরানের পেট্রোলিয়াম ও পেট্রোকেমিক্যাল বাণিজ্যের সাথে জড়িত থাকার জন্য একাধিক সত্তার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে । এই নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য হল ইরানের রাজস্ব প্রবাহ বন্ধ করা, যা দেশটির কার্যক্রমের জন্য ব্যবহৃত হয় ।
ইরানের অপরিশোধিত তেল রফতানির ক্ষেত্রে চীন প্রধান ক্রেতা হিসেবে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে । কিছু বিশ্লেষকের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে চীনের তেল পরিশোধন কেন্দ্রগুলো ইরান থেকে তেল আমদানি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়িয়েছে ।
জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে দেওয়া মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় ১৫টি শিপিং সংস্থা, ৫২টি জাহাজ, ১২ জন ব্যক্তি ও ৫৩টি সত্তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ।