ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ চূড়ান্ত করার চেষ্টা করছে, যার মূল লক্ষ্য রাশিয়ান তেলের দাম কমানো। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান বন্ধ করার জন্য চাপ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে স্লোভাকিয়ার মতো সদস্য রাষ্ট্রগুলোর বিরোধিতার সম্মুখীন হচ্ছে এই উদ্যোগ।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে দেখলে, স্লোভাকিয়া রাশিয়ান জ্বালানির উপর নির্ভরশীল। তারা ইউরোপীয় কমিশনের পক্ষ থেকে তাদের জ্বালানি নিরাপত্তা নিয়ে পর্যাপ্ত নিশ্চয়তা না পাওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এই মতপার্থক্য ইইউ-এর অভ্যন্তরে ক্রমবর্ধমান ফাটল তৈরি করছে, বিশেষ করে মস্কোর সঙ্গে শক্তিশালী অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে এমন দেশগুলোর মধ্যে।
ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, স্লোভাকিয়া অতীতেও জ্বালানি সরবরাহের ক্ষেত্রে রাশিয়ার উপর নির্ভরশীল ছিল। উদাহরণস্বরূপ, সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর, স্লোভাকিয়া রাশিয়ান গ্যাসের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনার চেষ্টা করলেও, এখনো পর্যন্ত তারা সম্পূর্ণরূপে বিকল্প খুঁজে পায়নি। এই প্রেক্ষাপটে, নতুন নিষেধাজ্ঞার কারণে স্লোভাকিয়ার অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে।
ইইউ তার পরবর্তী শীর্ষ সম্মেলনের আগে এই প্যাকেজটি পুনরায় আলোচনা করার চেষ্টা করছে, তবে ঐকমত্য ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে। এদিকে, ১২ই জুন, স্লোভাক সরকারের পক্ষ থেকে রাজনীতিবিদ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য কিছু পদক্ষেপ ঘোষণা করা হয়েছে, যা একটি হত্যা প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বিক্ষোভের উপর বিধিনিষেধ এবং রাজনৈতিক নেতাদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
সংক্ষেপে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার বাস্তবায়ন ইইউ-এর জন্য একটি জটিল প্রক্রিয়া, যা অভ্যন্তরীণ বিভেদ এবং ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের কারণে আরও কঠিন হয়ে উঠেছে। স্লোভাকিয়ার জ্বালানি নির্ভরতা এবং নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে এই প্রক্রিয়া আরও চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে।