ভারত ২০২৫ সালে একটি পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ভবিষ্যতের লক্ষ্যে কয়লা গ্যাসিফিকেশন প্রচেষ্টাকে উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এই উদ্যোগটি সরকারের সবুজ প্রযুক্তি গ্রহণ এবং স্থিতিশীল উন্নয়নে উৎসাহিত করার কৌশলের অংশ। কয়লা মন্ত্রক সক্রিয়ভাবে সেই প্রকল্পগুলিকে সমর্থন করছে যা কয়লাকে পরিচ্ছন্ন জ্বালানি এবং রাসায়নিকে রূপান্তরিত করে।
কয়লা গ্যাসিফিকেশন কয়লাকে সিনগ্যাসে রূপান্তরিত করে, যা কার্বন মনোক্সাইড, হাইড্রোজেন এবং কার্বন ডাই অক্সাইডের মিশ্রণ। এই প্রক্রিয়া পরিচ্ছন্ন জ্বালানি উৎপাদনে সক্ষম করে এবং নির্গমন হ্রাস করে। সরকার কয়লা গ্যাসিফিকেশন প্রকল্পের জন্য ৮,৫০০ কোটি টাকা আর্থিক প্রণোদনা হিসাবে বরাদ্দ করেছে, যা সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করছে।
কোল ইন্ডিয়া লিমিটেড এবং গেইল (ইন্ডিয়া) লিমিটেডের একটি যৌথ উদ্যোগ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে কয়লা থেকে সিনথেটিক ন্যাচারাল গ্যাস প্ল্যান্ট স্থাপন করছে। এই প্ল্যান্টটি বার্ষিক ১.৯ মিলিয়ন টন কয়লা ব্যবহার করে ঘন্টায় ৮০,০০০ এনএম৩ এসএনজি উৎপাদন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। জিন্দাল স্টিল অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড, নিউ এরা ক্লিনটেক সলিউশন প্রাইভেট লিমিটেড এবং গ্রেটা এনার্জি লিমিটেড সহ বেশ কয়েকটি কোম্পানিকে ওড়িশা এবং মহারাষ্ট্রে তাদের কয়লা গ্যাসিফিকেশন প্রকল্পের জন্য আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।
এই প্রকল্পগুলি কয়লাকে ডিরেক্ট রিডিউসড আয়রন (ডিআরআই) এর মতো পণ্যে রূপান্তরিত করবে এবং মূল্যবান পণ্যে রূপান্তরের জন্য CO2 ক্যাপচার করবে। এই প্রচেষ্টা ২০৪৭ সালের মধ্যে একটি উন্নত এবং পরিবেশগতভাবে স্থিতিশীল ভবিষ্যতের জন্য ভারতের লক্ষ্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। দেখার মতো গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলির মধ্যে রয়েছে কয়লা থেকে সিনথেটিক ন্যাচারাল গ্যাস প্ল্যান্টের কমিশনিং এবং ওড়িশা ও মহারাষ্ট্রে প্রণোদনাপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলির অগ্রগতি।
কয়লা গ্যাসিফিকেশন প্রচার ভারতের জ্বালানি খাতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি জ্বালানি স্বনির্ভরতায় অবদান রাখবে, কার্বন নির্গমন হ্রাস করবে এবং একটি পরিচ্ছন্ন শিল্প ভবিষ্যতের বিকাশ ঘটাবে। এই উদ্যোগটি জ্বালানি খাতে স্থিতিশীল উন্নয়ন এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের প্রতি ভারতের অঙ্গীকার প্রদর্শন করে।