২০২৫ সালের ২ জুলাই, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভিয়েতনামের সঙ্গে একটি নতুন বাণিজ্য চুক্তি ঘোষণা করলেন, যা দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি সমাধানে লক্ষ্যস্থির। দক্ষিণ এশিয়ার ঐতিহ্যবাহী বাণিজ্যিক সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
চুক্তির আওতায়, ভিয়েতনামের আমদানি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২০% শুল্কের আওতায় আসবে, যা পূর্বে প্রস্তাবিত ৪৬% থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে কম। বিনিময়ে, আমেরিকার পণ্যগুলো ভিয়েতনামের বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে। এছাড়াও, চীনা আমদানির ওপর মার্কিন শুল্ক এড়াতে ভিয়েতনামের মাধ্যমে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে ৪০% শুল্ক আরোপ করা হবে। এই ব্যবস্থায় দক্ষিণ এশিয়ার বাণিজ্যিক জটিলতা এবং প্রতিযোগিতার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
এই চুক্তি ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট ও ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান তো লামের মধ্যে আলোচনার পর এসেছে। ভিয়েতনাম প্রায় ৩০% পণ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করে এবং এটি বড় বড় কোম্পানির জন্য একটি উৎপাদন কেন্দ্র। গত বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিয়েতনামের সঙ্গে বাণিজ্যে ১২২ বিলিয়ন ডলারের ঘাটতি ছিল, যা এই চুক্তির গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
অর্থনীতিবিদ মেরি লাভলি উল্লেখ করেছেন, ছোট অংশীদারদের সঙ্গে এই ধরনের চুক্তি বেশি সম্ভবপর। এই চুক্তি এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে বৃহত্তর ভূ-রাজনৈতিক কৌশলের মধ্যে আরও শক্তিশালী অর্থনৈতিক সম্পর্কের প্রতিফলন। বাংলার বাণিজ্যিক ঐতিহ্যের মতো, যেখানে সম্পর্ক ও বিশ্বাসের গুরুত্ব অপরিসীম, এই পদক্ষেপ বিশ্ব বাণিজ্যের জটিলতায় নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এসেছে।