মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৫ তারিখে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার আগ্রাসন মোকাবেলায় ইউক্রেনে আমেরিকান সৈন্য পাঠানোর সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জোর দিয়ে বলেন যে ইউক্রেনের নিরাপত্তার দায়িত্ব মূলত ইউরোপীয় দেশগুলোর, যারা শান্তি চুক্তি নিশ্চিত করতে সৈন্য পাঠাতে ইচ্ছুক।
ট্রাম্প রাশিয়ার সাথে একটি সম্ভাব্য শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে ইউক্রেনকে বিমান সহায়তা প্রদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন, তবে মার্কিন স্থল সেনা মোতায়েনের সম্ভাবনা তিনি বাতিল করে দিয়েছেন। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভ নিশ্চিত করেছেন যে কোনও শান্তি মিশনে "মার্কিন সেনা মাটিতে থাকবে না"। এই ঘোষণাগুলো হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় নেতাদের এবং ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের বৈঠকের পর এসেছে, যেখানে রাশিয়ার আক্রমণ শেষ করার বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন যে শান্তি অর্জনের জন্য ইউক্রেনকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ছাড় দিতে হতে পারে, যার মধ্যে ক্রিমিয়ার উপর দাবি ত্যাগ এবং ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা পরিত্যাগ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। অন্যদিকে, রাশিয়া ট্রাম্পের এই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে এবং ইউক্রেনে ইউরোপীয় সৈন্যদের উপস্থিতির বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে। রাশিয়ার সরকার শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে ইউরোপীয় শান্তিরক্ষীদের গ্রহণ করার বিরোধিতা করেছে, যা ট্রাম্পের পূর্ববর্তী মন্তব্যের পরিপন্থী।
এই ঘটনাপ্রবাহগুলো নিরাপত্তা নিশ্চয়তা এবং শান্তির শর্তাবলী নিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পক্ষের ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে ইউক্রেনের সংঘাত সমাধানের চলমান আলোচনার জটিলতাকে তুলে ধরেছে। ইউরোপীয় দেশগুলো ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা প্রদানে তাদের সক্ষমতা বাড়াচ্ছে, যেখানে জার্মানি, নরওয়ে এবং অন্যান্য দেশগুলো এই ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। এই দেশগুলো প্রায় ৬৫০ বিলিয়ন ডলারের বেশি সামরিক সহায়তা প্রদান করেছে, যা প্রতিরক্ষা শিল্পের মাধ্যমে নতুন চুক্তির উপর বেশি নির্ভরশীল। এই পরিস্থিতি ইউক্রেনকে দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা অর্জনে সহায়তা করার জন্য একটি সম্মিলিত আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তাকে নির্দেশ করে।