ট্রাম্প প্রশাসনের ডিসি বস্তি উচ্ছেদ বিতর্ক

সম্পাদনা করেছেন: Татьяна Гуринович

আগস্ট ২০২৫-এ, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ওয়াশিংটন ডি.সি. জুড়ে গৃহহীন বস্তিগুলির উপর একটি ফেডারেল অভিযান শুরু করেছে। কেনেডি সেন্টারের কাছে একটি বস্তি উচ্ছেদের মাধ্যমে এই অভিযান শুরু হয়, যেখানে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য মাত্র একদিনের নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। এই পদক্ষেপের ফলে প্রায় ৮০০ ন্যাশনাল গার্ড সৈন্য এবং স্থানীয় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। এই অভিযানটি ডিসি-তে অপরাধের জরুরি অবস্থা ঘোষণার পর আসে, যার ফলে শহরের পুলিশ ফেডারেল নিয়ন্ত্রণে আসে এবং ন্যাশনাল গার্ড সক্রিয় হয়। শত শত ন্যাশনাল গার্ড সদস্য এবং ফেডারেল এজেন্ট স্থানীয় পুলিশের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা টহল দেওয়ার জন্য মোতায়েন করা হয়েছিল। এই অভিযান এখনও চলছে, এবং আরও বস্তি উচ্ছেদের পরিকল্পনা রয়েছে।

গৃহহীনতা নিয়ে কাজ করা কর্মীরা এই অভিযানের আগ্রাসী প্রকৃতির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে যে যারা সরতে অস্বীকার করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। সমালোচকদের মতে, এই উদ্যোগটি গৃহহীনতার মূল কারণগুলি সমাধানের চেয়ে বাহ্যিক চাকচিক্যের উপর বেশি মনোযোগ দিচ্ছে। ট্রাম্প প্রশাসন জোর দিয়ে বলেছে যে এই শক্তি প্রদর্শন আইন-শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারের জন্য অপরিহার্য, অন্যদিকে সমালোচকরা এটিকে ফেডারেল ক্ষমতার অপব্যবহার হিসাবে দেখছেন। যদিও ট্রাম্প প্রশাসন দাবি করেছে যে ডিসি-তে অপরাধ বেড়েছে, তবে বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুসারে, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে শহরটিতে অপরাধের হার কমেছে বা স্থিতিশীল রয়েছে। এই অভিযানের ফলে অনেক গৃহহীন ব্যক্তি তাদের আশ্রয়স্থল থেকে উচ্ছেদ হয়েছেন, এবং তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। কিছু সমালোচক মনে করেন যে এই পদক্ষেপটি সমস্যা সমাধানের পরিবর্তে সমস্যাটিকে আরও বাড়িয়ে তুলবে, কারণ এটি গৃহহীনতার মূল কারণগুলি যেমন সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসনের অভাব বা মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তার অভাবকে সমাধান করে না। এই ঘটনাটি শহুরে নীতি এবং গৃহহীনতা মোকাবেলার পদ্ধতির উপর একটি বিতর্ক তৈরি করেছে। একদিকে, প্রশাসন শহরটিকে নিরাপদ ও সুন্দর করার উপর জোর দিচ্ছে, অন্যদিকে মানবাধিকার কর্মীরা গৃহহীন ব্যক্তিদের মানবিক অধিকার এবং তাদের জন্য দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের প্রয়োজনীয়তার উপর আলোকপাত করছেন। এই পরিস্থিতিটি ফেডারেল হস্তক্ষেপ এবং স্থানীয় শাসনের মধ্যে একটি জটিল সম্পর্ককেও তুলে ধরেছে।

উৎসসমূহ

  • Economic Times

  • Axios

  • AP News

  • AP News

  • AP News

  • White House

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।