মঙ্গলবার, আগস্ট ১৯, ২০২৫ তারিখে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রকাশ করেছেন যে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ অবসানের অন্যতম প্রধান কারণ হলো স্বর্গলাভের আকাঙ্ক্ষা। ফক্স নিউজের সকালের অনুষ্ঠান 'ফক্স অ্যান্ড ফ্রেন্ডস'-এ এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, "আমি যদি সম্ভব হয় তবে স্বর্গে যেতে চাই।" তিনি আরও জানান যে তিনি "ভালো করছেন না" এবং "টোটেন পোলের একেবারে নিচে" আছেন, তবে শান্তি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি স্বর্গে যেতে পারবেন বলে আশা করেন।
এর আগে, ট্রাম্প এই সংঘাত অবসানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ১৪ই নভেম্বর, ২০২৪ তারিখে, ফ্লোরিডার একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, "আমরা মধ্যপ্রাচ্যে কাজ করব এবং রাশিয়া ও ইউক্রেন নিয়েও কঠোর পরিশ্রম করব। এটি থামাতে হবে।" এছাড়াও, ২২শে জানুয়ারী, ২০২৫ তারিখে, ট্রাম্প রাশিয়াকে অবিলম্বে ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন এবং শীঘ্রই কোনো সমাধান না হলে কঠোর নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও আশা প্রকাশ করেছিলেন যে ট্রাম্প যুদ্ধ অবসানে ভূমিকা রাখতে পারেন এবং দীর্ঘস্থায়ী শান্তি অর্জনের জন্য আলোচনার ক্ষেত্রে ইউক্রেনকে অন্তর্ভুক্ত করার গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছিলেন।
প্রায় তিন বছর ধরে চলা এই সংঘাতের অবসান ঘটাতে এবং যুদ্ধবিরতি অর্জনের জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ট্রাম্পের এই মন্তব্যগুলি একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এসেছে, যখন তিনি ইউরোপীয় নেতাদের সাথে হোয়াইট হাউসে সাক্ষাৎ করেছেন এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য একটি সম্ভাব্য ত্রি-পক্ষীয় সম্মেলনের বিষয়ে আলোচনা করেছেন। এই আলোচনায় ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা এবং ভূমি বিনিময়ের মতো বিষয়গুলিও অন্তর্ভুক্ত ছিল। ট্রাম্প প্রশাসন ইউরোপীয় দেশগুলির মাধ্যমে ইউক্রেনকে নিরাপত্তা সহায়তা প্রদানের উপর জোর দিয়েছে, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করবে। যদিও ন্যাটোতে ইউক্রেনের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি এখনো অনিশ্চিত, তবে ট্রাম্পের এই প্রচেষ্টা শান্তি স্থাপনের পথে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে। এই শান্তি প্রক্রিয়ায় ইউরোপীয় দেশগুলো সৈন্য মোতায়েন করতে আগ্রহী, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আকাশপথে সহায়তা প্রদান করবে বলে জানা গেছে।
এদিকে, মঙ্গলবার, রাশিয়া ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা চালিয়েছে, যার ফলে বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। এই হামলাগুলি ওয়াশিংটন ডিসিতে শান্তি আলোচনার সমান্তরালে সংঘটিত হয়েছে, যা সংঘাতের জটিলতাকেই তুলে ধরে। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন যে প্রেসিডেন্ট তার এই বক্তব্যে আন্তরিক ছিলেন এবং বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় তার এই প্রচেষ্টা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।