মার্কিন নির্বাচনের পর, ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করার জন্য চীন ও ভারতের উপর চাপ দিচ্ছেন, যার প্রধান উদ্দেশ্য হল ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তির জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করানো।
রাশিয়ান তেলের প্রধান ক্রেতা হিসেবে চীন, ভারত ও তুরস্কের মধ্যে, চীন ২১৯.৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের রাশিয়ান জ্বালানি কিনেছে, যেখানে ভারত ১৩৩.৪ বিলিয়ন ডলার এবং তুরস্ক ৯০.৩ বিলিয়ন ডলারের জ্বালানি কিনেছে। রাশিয়ার তেল বিক্রির ফলে শুধু জুন মাসেই ১২.৬ বিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে এবং ২০২৫ সালে ১৫৩ বিলিয়ন ডলার আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
ভারতের ক্রমাগত তেল কেনার প্রতিক্রিয়ায়, ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের উপর উচ্চ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন। ৪ আগস্ট, ২০২৫ তারিখে ভারতকে রাশিয়ান তেল পুনরায় বিক্রি করে ইউক্রেন যুদ্ধে পরোক্ষভাবে সমর্থন করার অভিযোগ করেন তিনি। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ট্রাম্পের মন্তব্যকে 'অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য' বলে নিন্দা করেছে এবং রাশিয়ান তেল কেনা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে।
৫ আগস্ট, ২০২৫-এ, বাণিজ্য বিরোধের কারণে বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগের মধ্যে ভারতীয় ইক্যুইটি বেঞ্চমার্কগুলি স্থিতিশীলভাবে খোলার সম্ভাবনা রয়েছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) তথ্য অনুযায়ী, রাশিয়া ২০২৪ সালে এশিয়ায় তার তেল রপ্তানি ৫০% বৃদ্ধি করেছে, যা পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাগুলির মুখে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রমাণ করে।
যুক্তরাষ্ট্রের এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ইআইএ) জানিয়েছে, ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ভারত রাশিয়ার তেল কম দামে কিনছে।
ভারতের জ্বালানি মন্ত্রী,CNBC কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, যদি ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করে দিত, তাহলে ব্যারেল প্রতি তেলের দাম ১৩০ ডলারে গিয়ে পৌঁছাতো।
ভারত বর্তমানে রাশিয়া থেকে দৈনিক ১.৯৬ মিলিয়ন ব্যারেল তেল আমদানি করে, যা দশ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রাম্পের এই শুল্কের ফলে ওষুধ, ইঞ্জিনিয়ারিং, বাসমতী, ইলেকট্রনিক এবং বস্ত্রশিল্পের উপর প্রভাব পড়বে।