ওয়াশিংটন ডিসি-তে ন্যাশনাল গার্ড সৈন্যদের মাঝে বার্গার বিতরণের সময় মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সকে লক্ষ্য করে স্লোগান দেওয়া হয়। এই ঘটনাটি ঘটে যখন শহরটিতে অপরাধ এবং অবৈধ অভিবাসন মোকাবেলার জন্য একটি ফেডারেল উদ্যোগ চলছিল। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আগস্ট ২১, ২০২৫ সালের ঘোষণার পর এই অপারেশনটি শুরু হয়, যেখানে তিনি ন্যাশনাল গার্ড এবং পুলিশের সাথে ওয়াশিংটন ডিসি-র রাস্তায় টহল দেওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। এই পদক্ষেপের ফলে শহরে সামরিক উপস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়।
ওয়াশিংটন ডিসি-তে সামরিক উপস্থিতি বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিবাদ ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। মেক্সিকোর আইনপ্রণেতারা জাতীয় সার্বভৌমত্ব এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সম্ভাব্য ঝুঁকির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও, এই অপারেশনটি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কথিত কর্তৃত্ববাদী পদক্ষেপের বিরুদ্ধে 'নো কিংস' প্রতিবাদের অংশ হিসেবে বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভের সম্মুখীন হয়েছে। এই প্রতিবাদগুলি গণতন্ত্র রক্ষা এবং নির্বাহী ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে আয়োজিত হয়েছিল।
ঘটনার সময়, ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্যান্সকে লক্ষ্য করে "ফ্রি ডিসি" এবং "আপনি ওহাইওর লজ্জা" এর মতো স্লোগান দেওয়া হয়। কিছু বিক্ষোভকারী প্রাক্তন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ এবং হোয়াইট হাউসের ডেপুটি চিফ অফ স্টাফ স্টিফেন মিলারকেও লক্ষ্য করে স্লোগান দেয়। ভ্যান্স এই ঘটনাকে "অদ্ভুত" বলে অভিহিত করেছেন এবং বিক্ষোভকারীদের "পাগল" বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি আরও বলেন যে, এই অপারেশনগুলি শহরকে নিরাপদ করার জন্য এবং বিশৃঙ্খলা দূর করার জন্য প্রয়োজনীয়।
অন্যদিকে, 'নো কিংস' প্রতিবাদের আয়োজকরা এই পদক্ষেপকে কর্তৃত্ববাদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের পক্ষে একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলন হিসেবে দেখছেন। তারা উল্লেখ করেছেন যে, এই প্রতিবাদগুলি দেশব্যাপী প্রায় ২,০০০ স্থানে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং এতে লক্ষ লক্ষ মানুষ অংশগ্রহণ করেছিল। এই আন্দোলনটি প্রায়শই ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি এবং পদক্ষেপের বিরুদ্ধে একটি সম্মিলিত প্রতিক্রিয়া হিসেবে কাজ করে, যা গণতন্ত্রের উপর প্রভাব ফেলে বলে তারা মনে করেন।
ফেডারেল সরকার যুক্তি দিয়েছে যে, এই অপারেশনটি জননিরাপত্তা এবং অপরাধ দমনের জন্য অপরিহার্য। তবে, সমালোচকরা মনে করেন যে, এই পদক্ষেপটি শহরের শান্তি ও স্থিতিশীলতার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এবং এটি একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক এজেন্ডার অংশ। এই ঘটনাটি দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভাজনকে আরও স্পষ্ট করে তুলেছে।