২০২৫ সালের ২ জুলাই, ব্রাসেলসে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ইউরোপীয় কাউন্সিলের সভাপতি আন্তোনিও কোস্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এই বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা, বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং দুই পক্ষের মধ্যে একটি নতুন শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়। ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তির সময় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ওয়াং ই ইউরোপকে “একটি বহুধ্রুবীয় বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রবিন্দু” হিসেবে গুরুত্বারোপ করেন। তিনি চীনের পক্ষ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি বিদেশনীতিতে “অবিচ্ছিন্নতা ও স্থিতিশীলতা” বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি একতরফা কার্যক্রম ও আন্তর্জাতিক হুমকির বিরুদ্ধে সমালোচনা করেন এবং বেইজিং ও ব্রাসেলসের মধ্যে গভীর সংলাপের মাধ্যমে এই প্রবণতাগুলো কমানো সম্ভব হবে বলে মনে করেন।
আন্তোনিও কোস্তা “একটি ক্রমবর্ধমান অনিশ্চিত বিশ্বে” দুই শক্তির মধ্যে সহযোগিতার পক্ষে কথা বলেন। তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের “এক চীন” নীতির প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। ইউক্রেনের সংঘাত সম্পর্কেও আলোচনা হয়, যেখানে ওয়াং ই জানান যে বেইজিং “শান্তির পাশে থাকবে”।
এই বৈঠক চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যকার সম্পর্কের দৃঢ়তাকে প্রতিফলিত করে। ২০২৫ সালের মে মাসে তারা পারস্পরিক সীমাবদ্ধতাগুলো তুলে নিয়ে প্রতিষ্ঠানিক সংলাপ পুনরুজ্জীবিত করে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করে। এই পদক্ষেপটি কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তির সঙ্গে মিলেমিশে ঘটে এবং বাণিজ্যিক উত্তেজনার মধ্যেও হয়।
এসব উন্নয়ন বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহযোগিতা গভীর করার এবং যৌথ প্রতিশ্রুতির ইঙ্গিত দেয়। বর্তমান আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গুরুত্ব এইভাবে আরও বাড়ছে, যা দক্ষিণ এশিয়ার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বৌদ্ধিক আলোচনার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।