19 জুন, 2025 তারিখে, রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি প্রবোও সুবিয়ান্তো সেন্ট পিটার্সবার্গে মিলিত হন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বৃদ্ধি এবং সম্ভাব্য কৌশলগত অংশীদারিত্ব অন্বেষণ নিয়ে আলোচনা করার জন্য। এই বৈঠকটি গ্লোবাল সাউথের দেশগুলির সাথে জোট গঠনের রাশিয়ার প্রচেষ্টার অংশ।
আলোচনার সময়, পুতিন ব্রিকস অর্থনৈতিক ব্লকে ইন্দোনেশিয়ার পূর্ণ সদস্যপদকে স্বাগত জানান। প্রবোও সম্পর্ক উন্নয়নের কথা স্বীকার করেন এবং রাশিয়াকে দীর্ঘদিনের অংশীদার হিসাবে প্রশংসা করেন, বিশেষ করে প্রতিরক্ষা, জ্বালানি এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে। রাশিয়া সামরিক, নিরাপত্তা, বাণিজ্য এবং পারমাণবিক শক্তিতে গভীর সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছে।
ইন্দোনেশিয়া 2032 সালের মধ্যে তাদের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করার লক্ষ্য রাখছে, যেখানে রাশিয়ান সংস্থা রোসাটম-এর মতো আগ্রহীরাও রয়েছে। জোট নিরপেক্ষ পররাষ্ট্র নীতি বজায় রেখে, ইন্দোনেশিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে শক্তিশালী অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলছে। রাশিয়া ইউক্রেন সংঘাতের বিষয়ে ইন্দোনেশিয়ার নিরপেক্ষ অবস্থান এবং ক্রমবর্ধমান সামরিক সম্পর্ককে প্রশংসা করেছে।
উভয় দেশ জাভা সাগরে যৌথ নৌ মহড়া চালায়, যা ইন্দোনেশিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে প্রথম স্বাধীন সামরিক মহড়া ছিল। এই মহড়ার লক্ষ্য ছিল কৌশলগত সহযোগিতা জোরদার করা। এই উন্নয়নগুলি আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বকে বৈচিত্র্যময় করার এবং তাদের প্রতিরক্ষা ক্ষমতা বাড়ানোর দিকে ইন্দোনেশিয়ার কৌশলগত পরিবর্তনের ওপর আলোকপাত করে।