গাজা উপত্যকার স্থিতিশীলতা, বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা এবং ফিলিস্তিনি শাসনের প্রসারে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে একটি আন্তর্জাতিক জোট গঠনের জন্য ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর প্রস্তাবকে স্পেন আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন জানিয়েছে। এই পদক্ষেপটি দুই-রাষ্ট্র সমাধানের প্রতি স্পেনের দীর্ঘদিনের প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্পেনের সাম্প্রতিক স্বীকৃতির সঙ্গেও এটি সামঞ্জস্যপূর্ণ। স্পেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে এই প্রস্তাবটি গাজা ও মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও নিরাপত্তা অর্জনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। এটি জাতিসংঘের রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন রিফিউজিস ইন দ্য নিয়ার ইস্ট (UNRWA)-এর কাজের পরিপূরক এবং দুই-রাষ্ট্র সমাধানের চূড়ান্ত লক্ষ্যের দিকে একটি পদক্ষেপ।
এই আন্তর্জাতিক জোটের লক্ষ্য হবে গাজার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা প্রদান করা এবং ফিলিস্তিনি শাসনের প্রতি সমর্থন জোগানো। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এই মিশনের প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। স্পেনের এই অবস্থান ইসরায়েলের গাজায় সামরিক কর্মকাণ্ডের প্রতি তাদের সমালোচনামূলক মনোভাবের প্রতিফলন। স্পেন সম্প্রতি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে, যা ফ্রান্সসহ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশও করেছে। এই কূটনৈতিক পদক্ষেপটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নির্দেশ করে, যেখানে যুক্তরাজ্য, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলোও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। ফ্রান্সের এই প্রস্তাবটি গাজা উপত্যকার বর্তমান সংকট মোকাবেলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গাজায় শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই মিশনের কার্যকারিতা এবং এর সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্যগুলো নিয়ে আলোচনা চলছে, যা এই কূটনৈতিক প্রচেষ্টার প্রাথমিক পর্যায়কেই নির্দেশ করে। এই উদ্যোগটি একটি দীর্ঘস্থায়ী দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের দিকে অগ্রসর হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। স্পেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মনে করে যে এই অস্থায়ী জাতিসংঘ মিশনটি শেষ পর্যন্ত একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রীয় প্রশাসনে ক্ষমতা হস্তান্তরে এবং সকলের জন্য শান্তি ও নিরাপত্তা অর্জনে অবদান রাখতে পারে। এই প্রস্তাবটি গাজার মানবিক সংকট মোকাবেলায় এবং একটি স্থিতিশীল ভবিষ্যৎ নির্মাণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সম্মিলিত ইচ্ছার প্রতিফলন।