জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি প্রস্তাব পেশ করেছে, যার লক্ষ্য হাইতিতে একটি বহুজাতিক নিরাপত্তা মিশন স্থাপন করা। এই মিশনের উদ্দেশ্য হলো দেশটির জাতীয় পুলিশ বাহিনীকে শক্তিশালী করা এবং ক্রমবর্ধমান গ্যাং সহিংসতা দমন করা, যা ব্যাপক প্রাণহানি ও বাস্তুচ্যুতির কারণ হয়েছে। জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের প্রায় ৯০% এলাকা গ্যাং-এর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, নারীরা বিশেষভাবে যৌন সহিংসতার শিকার হচ্ছেন, যা একটি গুরুতর মানবিক উদ্বেগ তৈরি করেছে। গ্যাংগুলো, যেমন "Viv Ansanm", দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য একটি বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা কারাগার, সরকারি ভবন এবং বিমানবন্দরের মতো গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে সমন্বিত হামলা চালিয়েছে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ২০২৪ সালের জুলাই মাসে রেজোলিউশন ২৭৪৩ (২০২৪) এর মাধ্যমে জাতিসংঘের ইন্টিগ্রেটেড অফিস ইন হাইতি (BINUH) এর ম্যান্ডেট ২০২৫ সালের ১৫ জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়েছে। এই রেজোলিউশনটি হাইতির রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এবং নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরিতে সহায়তা করার উপর জোর দিয়েছে। তবে, রাশিয়া ও চীন এই মিশনের জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে রূপান্তরের বিরোধিতা করেছে, কারণ তাদের মতে সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠার মতো পরিস্থিতি নেই। হাইতির জাতীয় পুলিশ বাহিনী, যা প্রায় ৯,০০০ জন সদস্য নিয়ে গঠিত, গ্যাংগুলোর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যথেষ্ট চাপের মধ্যে রয়েছে। আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী পুলিশ সদস্যের অনুপাত ১.৩০ প্রতি ১,০০০ জন, যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ২.২ এর চেয়ে কম। এই পরিস্থিতিতে, একটি কার্যকর বহুজাতিক নিরাপত্তা মিশন হাইতির শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।