থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্ত উত্তেজনা প্রশমনে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর

সম্পাদনা করেছেন: Ирина iryna_blgka blgka

কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া: থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া বৃহস্পতিবার, ৭ই আগস্ট, ২০২৫ তারিখে কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত এক বিশেষ সীমান্ত কমিটির বৈঠকে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তিটি সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষের পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। চুক্তির আওতায় একটি আঞ্চলিক পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা দেশ দুটির মধ্যে আস্থা তৈরি এবং চুক্তির বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে। আন্তর্জাতিক মানবিক আইন অনুসারে বন্দী সৈন্যদের যথাযথ চিকিৎসার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। উভয় দেশই উন্মুক্ত যোগাযোগ এবং দ্বিপাক্ষিক সমস্যা সমাধানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আসিয়ান (ASEAN) সদস্য দেশগুলো এই যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণের অনুমতি পাবে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম এই চুক্তি সম্পাদনে মধ্যস্থতা করেন, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনেরও সমর্থন ছিল।

এই সংঘাতের ফলে প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং উভয় পক্ষে ৪৩ জনেরও বেশি প্রাণহানি ঘটেছে। এই ঐতিহাসিক বিরোধগুলো ঔপনিবেশিক আমলের সীমান্ত নির্ধারণের অস্পষ্টতার মধ্যে নিহিত, যা ১৯০৪ এবং ১৯০৭ সালের ফ্রাঙ্কো-সিয়ামিজ চুক্তির মাধ্যমে তৈরি হয়েছিল। এই চুক্তিটি কেবল একটি যুদ্ধবিরতিই নয়, বরং এটি আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার একটি প্রয়াস। মালয়েশিয়ার মধ্যস্থতা এবং আসিয়ান দেশগুলোর সম্পৃক্ততা এই প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করেছে। এই চুক্তিটি দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী শান্তি ও সহযোগিতার পথ প্রশস্ত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

উৎসসমূহ

  • The Cambodia News

  • Reuters

  • AP News

  • Reuters

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।