ইউরোপীয় কমিশন ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের জন্য অস্থায়ী সুরক্ষা নির্দেশিকা ২০২৭ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে, যা প্রায় ৪.২৬ মিলিয়ন ইউক্রেনীয় নাগরিককে ইউরোপীয় ইউনিয়নে সুরক্ষা প্রদান করবে। তবে, জার্মানির বাভারিয়ার মুখ্যমন্ত্রী মার্কাস সোডার প্রস্তাব করেছেন যে, ২০২৫ সালের ১লা এপ্রিলের পর জার্মানিতে আসা ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের জন্য সুবিধা হ্রাস করা উচিত। তিনি মনে করেন, ইউক্রেনীয় শরণার্থীরা 'Bürgergeld' নামক নাগরিক সুবিধা পাচ্ছেন যা অন্যান্য দেশের শরণার্থীদের তুলনায় বেশি। সোডার আরও উল্লেখ করেছেন যে, জার্মানিতে আসা ইউক্রেনীয়দের মধ্যে মাত্র এক-তৃতীয়াংশ কর্মক্ষম এবং তারা কাজ খুঁজছেন, যা অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলোর তুলনায় কম। তিনি প্রস্তাব করেছেন যে, নতুন শরণার্থীদের জন্য 'Asylbewerberleistungsgesetz' (শরণার্থী সুবিধা আইন) এর অধীনে কম সুবিধা প্রদান করা হোক।
এই প্রস্তাবটি জার্মান সরকারের মধ্যে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রেডরিখ মের্জের প্রধান সহায়ক থোরস্টেন ফ্রেই সোডারের এই ধারণাকে সমর্থন করেছেন, বলেছেন যে জার্মানি এমন সুবিধা দিচ্ছে যা বিশ্বের অন্য কোনো দেশ দেয় না। অন্যদিকে, সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটরা (SPD) এই প্রস্তাবকে অযৌক্তিক এবং ক্ষতিকর বলে মনে করছেন। জার্মানির ফেডারেল কর্মসংস্থান সংস্থা (Federal Employment Agency) থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মে মাস পর্যন্ত জার্মানিতে ইউক্রেনীয়দের কর্মসংস্থানের হার ছিল ৩৪.৯% এবং এটি ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সংস্থাটি আরও বলেছে যে, সামাজিক সুবিধাগুলি ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের কর্মসংস্থানের উপর সামান্য এবং পরিসংখ্যানগতভাবে নগণ্য প্রভাব ফেলে। জার্মানি সরকার ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের জন্য 'Bürgergeld' সুবিধা প্রদান করছে, যা তাদের জীবনযাত্রার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ, আবাসন এবং স্বাস্থ্য বীমা কভার করে। একজন একক প্রাপ্তবয়স্কের জন্য এই মাসিক পরিমাণ প্রায় ৫৬৩ ইউরো। তবে, এই নীতিগুলি নিয়ে জার্মানিতে বিতর্ক অব্যাহত রয়েছে, যা ভবিষ্যতে এই সহায়তার পরিমাণ এবং শর্তাবলীকে প্রভাবিত করতে পারে।