২০২৫ সালের ২০শে আগস্ট, ইসরায়েলের সুপ্রিম প্ল্যানিং কমিটি অধিকৃত পশ্চিম তীরে ই১ (E1) বসতি সম্প্রসারণের পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। এই প্রকল্পের আওতায় পূর্ব জেরুজালেমের পূর্বে অবস্থিত ই১ এলাকায় প্রায় ৩,৪০০টি আবাসন ইউনিট নির্মাণ করা হবে। এই এলাকাটি কৌশলগতভাবে পশ্চিম তীরকে বিভক্ত করার এবং পূর্ব জেরুজালেমের সাথে এর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি এই সিদ্ধান্তকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, যদি এটি বাস্তবায়িত হয়, তবে এটি “একটি ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে দ্বি-খণ্ডিত করবে” এবং “আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন” হবে। তিনি ইসরায়েল সরকারকে তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন। ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছে। তারা এটিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর “বৃহত্তর ইসরায়েল” গঠনের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছে। তারা সতর্ক করেছে যে এই পরিকল্পনা দখলদারিত্বকে আরও দৃঢ় করবে এবং একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের সম্ভাবনাকে ধ্বংস করে দেবে।
জাতিসংঘ বারবার সতর্ক করেছে যে বসতি সম্প্রসারণ অব্যাহত থাকলে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের সম্ভাবনা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এই পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করেছেন এবং ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।
জুলাই ২০২৪-এ আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (ICJ) ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের উপর ইসরায়েলের দখলকে অবৈধ ঘোষণা করেছিল এবং সমস্ত বসতি সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল। ই১ বসতি পরিকল্পনাটি আন্তর্জাতিক বিরোধিতার কারণে পূর্বে স্থগিত রাখা হয়েছিল, কিন্তু এখন এটি পুনরায় চালু করা হয়েছে। এই উন্নয়নটি পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলকে দক্ষিণাঞ্চল থেকে বিচ্ছিন্ন করবে এবং পূর্ব জেরুজালেমের সাথে এর সংযোগ ছিন্ন করবে, যা একটি অবিচ্ছিন্ন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের ধারণাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এই পদক্ষেপের ফলে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ আরও কঠিন হয়ে পড়বে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য সংলাপের উপর জোর দিচ্ছে।