ইউক্রেনের জন্য ছাড়ের আহ্বান: জেলেনস্কি প্রত্যাখ্যান

সম্পাদনা করেছেন: Татьяна Гуринович

১৮ আগস্ট, ২০২৫ তারিখে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে হোয়াইট হাউসে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মিলিত হন। এই আলোচনায় ইউক্রেন যুদ্ধ, যা ২০১৪ সালে রাশিয়ার ক্রিমিয়া দখল এবং ২০২২ সালে এর ব্যাপক বিস্তারের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল, তার উপর আলোকপাত করা হয়। বৈঠকে জার্মানি, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, ইতালি, ফিনল্যান্ড, ইউরোপীয় কমিশন এবং ন্যাটোর মতো ইউরোপীয় নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রস্তাব করেন যে ইউক্রেন তার ন্যাটো আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করুক এবং রাশিয়ার ২০১৪ সালের ক্রিমিয়া দখল মেনে নিক। তিনি মনে করেন যে এই ছাড়গুলি একটি শান্তি চুক্তির দিকে নিয়ে যেতে পারে। তবে, প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এই প্রস্তাবগুলি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেন এবং ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার উপর জোর দেন। জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ ইউক্রেনের প্রতি তার দৃঢ় সমর্থন ব্যক্ত করেন এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অংশগ্রহণের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। তিনি বলেন যে এই দায়িত্ব কেবল ইউরোপের উপর চাপানো উচিত নয় এবং দীর্ঘস্থায়ী আঞ্চলিক শান্তির জন্য একটি ঐক্যবদ্ধ পদ্ধতির গুরুত্ব তুলে ধরেন।

বৈঠকের আগে, ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা, যেমন খারকিভ এবং জাপোরিঝিয়াতে, বেসামরিক হতাহতের ঘটনা যুদ্ধের নৃশংসতা এবং একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের প্রয়োজনীয়তাকে আরও স্পষ্ট করে তোলে। এই হামলাগুলিতে বেসামরিক নাগরিক, এমনকি শিশুরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা যুদ্ধের ভয়াবহতা তুলে ধরে। এই বৈঠকটি কোনো চূড়ান্ত চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়, যা এই সংঘাতের জটিলতা এবং বিভিন্ন পক্ষের ভিন্ন ভিন্ন অবস্থানকে তুলে ধরে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করে এবং সকল পক্ষের নিরাপত্তা উদ্বেগ বিবেচনা করে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য আহ্বান জানাচ্ছে।

ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা দীর্ঘকাল ধরে রাশিয়ার উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০০৮ সালের বুখারেস্ট সামিটে ন্যাটো ইউক্রেনকে সদস্যপদ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কিন্তু এই প্রক্রিয়াটি রাশিয়ার বিরোধিতার কারণে বিলম্বিত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই বৈঠকে ন্যাটো এবং ক্রিমিয়ার বিষয়ে তার অবস্থান ইউক্রেন এবং তার মিত্রদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে, কারণ তারা আশঙ্কা করছে যে এটি মস্কোর অনুকূলে একটি চুক্তি চাপিয়ে দিতে পারে। অন্যদিকে, জার্মানির চ্যান্সেলর মের্জ ইউক্রেনকে দীর্ঘ-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদনে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যা ইউক্রেনকে আত্মরক্ষার জন্য আরও শক্তিশালী করবে। এই সহযোগিতা ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

উৎসসমূহ

  • The Tribune

  • Time

  • Reuters

  • Reuters

  • AP News

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।