আর্থিক ঘাটতির কারণে জাতিসংঘের একটি তদন্ত কার্যক্রম মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এই তদন্তটি ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতা এবং গাজা সংঘাতের সাথে সম্পর্কিত অস্ত্র হস্তান্তরের বিষয়ে আলোকপাত করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ২০২১ সালের মে মাসে অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে সংঘটিত ঘটনাবলীর উপর স্বাধীন আন্তর্জাতিক কমিশন অফ ইনকোয়ারি (Independent International Commission of Inquiry on the Occupied Palestinian Territory) তহবিলের অভাবে প্রমাণ সংগ্রহ বা কর্মী নিয়োগ করতে পারছে না।
২০২৪ সালে সম্প্রসারিত এই তদন্তের প্রতিবেদন মার্চ ২০২৬ সালের মধ্যে প্রকাশিত হওয়ার কথা থাকলেও, বর্তমান তহবিলের অভাব এই সময়সীমা নিয়ে সংশয় তৈরি করেছে। এই আর্থিক সংকট জাতিসংঘের ব্যবস্থার বৃহত্তর আর্থিক সমস্যাগুলির প্রতিফলন, যা দাতা দেশগুলোর মধ্যে ক্লান্তি এবং ব্যয় সংকোচনের নীতির কারণে সৃষ্টি হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর বকেয়া বাধ্যতামূলক চাঁদা জমা না পড়ার কারণে জাতিসংঘের দীর্ঘমেয়াদী তারল্য সংকট আরও বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে, বিশ্ব সংস্থাটি তার বাজেট ২০% কমানোর পরিকল্পনা করছে।
কমিশনের চেয়ারপার্সন নাভি পিল্লাই জানিয়েছেন যে, তদন্ত কমিশন তার প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে সক্ষম হচ্ছে না এবং বর্তমানে তদন্তকারীরা প্রায় ৫০% কর্মী দিয়ে কাজ চালাচ্ছে। মানবাধিকার কাউন্সিল একই ধরনের সীমিত সম্পদের সাথে অন্যান্য সংকট নিয়ে আলোচনা করার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। কমিশনটি ইসরায়েলের কাছ থেকে সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে, যারা নিয়মিতভাবে এর কার্যক্রমকে নিন্দা করে থাকে। কমিশনের তিনজন সদস্য গত মাসে পদত্যাগ করেছেন, তবে নতুন সদস্য নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত তারা তাদের দায়িত্ব পালন করে যাবেন।
জাতিসংঘের এই তদন্তে আর্থিক সীমাবদ্ধতা একটি বৃহত্তর প্রবণতার অংশ, যা বিশ্বব্যাপী কথিত নির্যাতনের জন্য জবাবদিহিতা প্রচেষ্টাকে প্রভাবিত করছে। এই আর্থিক সংকট জাতিসংঘের অন্যান্য মানবাধিকার তদন্তকেও প্রভাবিত করছে, যার ফলে অনেক ক্ষেত্রে তদন্ত কার্যক্রম ৩০-৬০% ক্ষমতা নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন সহ প্রধান দাতাদের বকেয়া চাঁদা পরিশোধে বিলম্ব জাতিসংঘের তহবিলের সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। এই পরিস্থিতিতে, বিশ্ব সংস্থাটি তার বাজেট ২০% কমানোর পরিকল্পনা করছে, যা মানবাধিকার তদন্তের কার্যকারিতা আরও সীমিত করবে।