২রা আগস্ট, ২০২৫-এ, হামাস ঘোষণা করে যে তারা জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পরেই তাদের প্রতিরোধ বন্ধ করবে । এই ঘোষণার পরে আন্তর্জাতিক মহলে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা যায় ।
জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োহান ভাডেফুল জানান, জার্মানি অদূর ভবিষ্যতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে না । তিনি বলেন, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে একটি চূড়ান্ত সমাধান প্রয়োজন । এই অবস্থান শান্তি প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত না করার এবং একটি দীর্ঘমেয়াদী সমাধান নিশ্চিত করার প্রতিফলন ।
ফ্রান্সসহ ১৫টি পশ্চিমা দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য বিশ্বের সব দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে । ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ-নোয়েল বারো এক পোস্টে লিখেছেন, নিউইয়র্কে আরও ১৪টি দেশের সঙ্গে ফ্রান্স ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করছে এবং যারা এখনো তা করেনি, তাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে ।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আলোচনার ওপর জোর দিয়েছেন । বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক মনে করেন, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া হলে তা মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে পরিবর্তন আনতে পারে এবং শান্তি আলোচনার নতুন দ্বার উন্মোচন করতে পারে ।
এদিকে, গাজায় মানবিক সংকট এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে কিছু দেশের স্বীকৃতি দেওয়ার পদক্ষেপ নিয়ে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান ভাডেফুল বলেছেন, এসব ইস্যুতে ইসরায়েল ক্রমেই কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে ।