সুদানে সমান্তরাল সরকার ঘোষণা: রাজনৈতিক অচলাবস্থা আরও গভীর হওয়ার আশঙ্কা

সম্পাদনা করেছেন: Татьяна Гуринович

সুদানে, র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরএসএফ) এর নেতৃত্বাধীন একটি জোট সম্প্রতি একটি সমান্তরাল সরকার গঠনের ঘোষণা করেছে । এই পদক্ষেপটি দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে ।

'ফাউন্ডেশনাল অ্যালায়েন্স অফ সুদান' নামের এই জোটটি ১৫ সদস্যের একটি রাষ্ট্রপতি পরিষদ গঠনের ঘোষণা দিয়েছে । আরএসএফ নেতা মোহাম্মদ হামদান দাগালো এই পরিষদের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন ।

সুদানি সেনাবাহিনী, যার নেতৃত্বে রয়েছেন আব্দেল ফাত্তাহ আল-বুরহান, এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে । তারা এটিকে দেশের বিভাজন ঘটানোর একটি প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছে ।

জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে । তারা মনে করে, এটি সুদানের স্থিতিশীলতা এবং ঐক্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে ।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, সুদানে চলমান সংঘাতে লক্ষ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে । ২০২৩ সালে দেশটির মুদ্রাস্ফীতি ছিল ১৪৬.৬০% । এই পরিস্থিতিতে, নতুন সরকার গঠনের পদক্ষেপ সুদানের ভবিষ্যৎকে আরও অনিশ্চিত করে তুলেছে ।

এই সমান্তরাল সরকার গঠনের ফলে সুদানে নতুন করে রাজনৈতিক বিভেদ সৃষ্টি হতে পারে । এর ফলে দুটি প্রতিদ্বন্দ্বী সরকার তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা দীর্ঘমেয়াদী সংঘাতের কারণ হতে পারে ।

ফেব্রুয়ারী ২০২৫-এ, আরএসএফ এবং তার মিত্র রাজনৈতিক দল ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো একটি ধর্মনিরপেক্ষ "নতুন সুদান" গঠনের জন্য একটি সরকার গঠনে সম্মত হয়েছিল । এই পদক্ষেপের লক্ষ্য ছিল সেনাবাহিনী-নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করা ।

মোহাম্মদ হাসান আল-তাইশিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে । এই পরিস্থিতিতে, সুদানের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কোন দিকে মোড় নেয়, সেটাই এখন দেখার বিষয় ।

উৎসসমূহ

  • Deutsche Welle

  • Reuters

  • Europa Press

  • Europa Press

  • Notimérica

  • SWI swissinfo.ch

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।