কাতারের দোহার কাছে ইসরায়েলি বিমান হামলা: হামাস নেতাদের লক্ষ্যবস্তু

সম্পাদনা করেছেন: Татьяна Гуринович

মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৫ তারিখে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) কাতারের রাজধানী দোহার কাছে লেগতিফিয়া পেট্রোল স্টেশনের কাছে একটি বিমান হামলা চালিয়েছে। এই হামলাটি সিন বেত গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতায় পরিচালিত হয়েছিল এবং এর মূল লক্ষ্য ছিল হামাসের শীর্ষ নেতাদের নির্মূল করা, যার মধ্যে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর কার্যনির্বাহী চেয়ারম্যান এবং যুদ্ধবিরতি আলোচনার একজন প্রধান মধ্যস্থতাকারী খলিল আল-হাইয়াও ছিলেন।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনাকে কাতারের সার্বভৌমত্বের উপর একটি গুরুতর লঙ্ঘন এবং আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী বলে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। এই হামলাটি গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি বিনিময়ের আলোচনা চলাকালীন সময়ে ঘটেছিল, যা ইসরায়েল-হামাস সংঘাতের একটি উল্লেখযোগ্য উত্তেজনা বৃদ্ধি করেছে। হামাস এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় তাদের অবস্থান সম্পর্কে শীঘ্রই জানাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এই ঘটনাটি মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে, কারণ কাতার হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এছাড়াও, কাতারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি বড় সামরিক ঘাঁটি, আল-উদেইদ এয়ার বেস অবস্থিত, যা এই ঘটনাকে আরও সংবেদনশীল করে তুলেছে।

খলিল আল-হাইয়া হামাসের নেতৃত্বাধীন একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব, যিনি ইসমাঈল হানিয়াহ এবং ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মৃত্যুর পর দলের মধ্যে তার প্রভাব বাড়িয়েছেন। তিনি হামাসের প্রধান মধ্যস্থতাকারী হিসেবে যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি বিনিময়ের আলোচনায় সক্রিয় ছিলেন। এই হামলার ফলে তার পরিবারের সদস্যদেরও হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।

এই ঘটনাটি আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার উপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে এবং ভবিষ্যতের মধ্যস্থতা প্রচেষ্টা ব্যাহত করতে পারে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহল, যেমন জাতিসংঘ, এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে এবং কাতারের সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে। তুরস্কের মতো দেশগুলোও এই হামলাকে ইসরায়েলের সম্প্রসারণবাদী নীতির প্রমাণ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। এই ঘটনাটি প্রমাণ করে যে, ইসরায়েল তার লক্ষ্য অর্জনের জন্য গাজার বাইরেও সামরিক শক্তি প্রয়োগ করতে প্রস্তুত।

উৎসসমূহ

  • Al Jazeera Online

  • Reuters

  • Axios

  • AP News

  • Financial Times

  • The Guardian

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।