কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি

সম্পাদনা করেছেন: gaya ❤️ one

কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের মধ্যে যুদ্ধবিরতি

কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের মধ্যে সীমান্ত সংঘাত নিরসনে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে । মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের মধ্যস্থতায় কুয়ালালামপুরে এই চুক্তিটি সম্পন্ন হয় । ২৮শে জুলাই, ২০২৫ তারিখ থেকে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হয়েছে ।

এই চুক্তিতে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত এবং থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই উভয়েই সম্মতি জানিয়েছেন । আনোয়ার ইব্রাহিম জানান, দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে এবং শান্তি ও নিরাপত্তা পুনরুদ্ধারে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ।

প্রেক্ষাপট

সম্প্রতি, দুই দেশের সীমান্ত এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, যাতে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন হতাহত হন । একটি ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে থাই সৈন্যের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে । এই পরিস্থিতিতে, মালয়েশিয়ার মধ্যস্থতায় দুই দেশের মধ্যে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ।

চুক্তির শর্তাবলী

চুক্তি অনুযায়ী, উভয় পক্ষ ২৮শে জুলাই, ২০২৫ তারিখ থেকে অবিলম্বে এবং নিঃশর্তভাবে যুদ্ধ বন্ধ করতে সম্মত হয়েছে । আনোয়ার ইব্রাহিম জানান, মালয়েশিয়া একটি পর্যবেক্ষণ দল পাঠাতে প্রস্তুত, যা এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি পর্যবেক্ষণ করবে ।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মহল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং চীনের নেতারাও এই শান্তি আলোচনায় সহায়তা করেছেন । তাঁরা উভয় দেশের নেতাদের সংঘাত নিরসনে উৎসাহিত করেছেন ।

প্রিয়া বিহার মন্দির বিতর্ক

কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের মধ্যে সীমান্ত বিরোধের একটি প্রধান কারণ হলো প্রিয়া বিহার মন্দির । এই মন্দিরটি কম্বোডিয়া ভূখণ্ডে অবস্থিত, তবে থাইল্যান্ড এর আশেপাশের এলাকা নিজেদের বলে দাবি করে । আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (ICJ) ১৯৬২ সালে মন্দিরটি কম্বোডিয়ার অংশ হিসেবে রায় দেয় ।

ভবিষ্যৎ

এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়ক হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। হুন মানেত বলেন, এই চুক্তি দুই দেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হবে ।

উৎসসমূহ

  • Clarin

  • DW

  • Reuters

  • Reuters

  • Reuters

  • Dhaka Tribune

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।