দক্ষিণ সুদানের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট রিক মাচারকে treason, খুন এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এই অভিযোগগুলি মার্চ মাসে একটি জাতিগত মিলিশিয়া দ্বারা সংঘটিত হিংসাত্মক আক্রমণের সাথে সম্পর্কিত, যা দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।
১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিচার মন্ত্রী ঘোষণা করেন যে প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট রিক মাচারকে treason, খুন এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এই অভিযোগগুলি মাচারের বিরুদ্ধে White Army মিলিশিয়ার সাথে জড়িত থাকার কারণে আনা হয়েছে। এই মিলিশিয়া, যা মাচারের Nuer সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত, মার্চ মাসের শুরুতে নাসির শহর দখল করে নেয়। এই হামলায় ২৫০ জনেরও বেশি সৈন্য নিহত হয়, যার মধ্যে একজন জেনারেলও ছিলেন। একটি উদ্ধার অভিযানে, জাতিসংঘের একটি হেলিকপ্টারে গুলি চালানো হয় এবং একজন পাইলট নিহত হন। মাচার মার্চ মাস থেকে গৃহবন্দী রয়েছেন।
এই মামলায় মোট ২০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে সাতজন সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তা রয়েছেন। বিচার মন্ত্রী জোসেফ গেং আকেচ বলেছেন যে এই অভিযোগগুলি একটি স্পষ্ট বার্তা দেয় যে যারা নৃশংসতা করে তাদের জবাবদিহি করতে হবে, তাদের পদ বা রাজনৈতিক প্রভাব নির্বিশেষে। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে দক্ষিণ সুদান “একটি উদ্বেগজনক পশ্চাদপসরণ” দেখছে যা বছরের পর বছর ধরে অর্জিত অগ্রগতি মুছে ফেলতে পারে।
দক্ষিণ সুদানের রাজনৈতিক ও জাতিগত উত্তেজনা দীর্ঘকাল ধরে বিদ্যমান। ২০১৮ সালে একটি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও, প্রেসিডেন্ট সালভা কির এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট রিক মাচারের মধ্যে সম্পর্ক ক্রমশই খারাপ হয়েছে। এই নতুন অভিযোগগুলি দেশের অভ্যন্তরীণ ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ের সাথে জড়িত বলে মনে করা হচ্ছে। White Army মিলিশিয়ার জড়িত থাকা এবং জাতিসংঘের কর্মীদের উপর আক্রমণ দেশের অস্থির নিরাপত্তা পরিস্থিতির ইঙ্গিত দেয়। এই ঘটনাগুলি দক্ষিণ সুদানের শান্তি প্রক্রিয়া এবং স্থিতিশীলতার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই পরিস্থিতির উপর গভীর নজর রাখছে, কারণ এটি আঞ্চলিকভাবেও প্রভাব ফেলতে পারে। এই অভিযোগগুলি দেশের বিচার ব্যবস্থার স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার উপরও প্রশ্ন তুলেছে।