মঙ্গল অভিযানের জন্য স্পেস প্রোটিন সোলিন তৈরিতে ইএসএ ও ফিনিশ সোলার ফুডসের যৌথ উদ্যোগ

সম্পাদনা করেছেন: Tetiana Martynovska 17

No supermarkets on the Moon? No problem. ESA's HOBI-WAN project is testing if bacteria can turn gases into protein-rich food in microgravity. This could make future crews more self-sufficient on missions to the Moon and Mars.

ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা (ইএসএ) এবং ফিনিশ খাদ্য প্রযুক্তি সংস্থা সোলার ফুডস একটি যুগান্তকারী অংশীদারিত্বের মাধ্যমে মহাকাশ অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এই সম্মিলিত প্রচেষ্টার লক্ষ্য হলো চন্দ্র, মঙ্গল এবং সুদূর মহাকাশের দীর্ঘমেয়াদী অভিযানের জন্য সোলার ফুডসের উদ্ভাবনী প্রোটিন, সোলিন-এর একটি মহাকাশ-উপযোগী সংস্করণ তৈরি করা। এই উদ্যোগটি মহাকাশচারীদের স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এই বিশেষ প্রকল্পটি 'হোবি-ওয়ান' (HOBI-WAN) নামে পরিচিত, যার পূর্ণরূপ হলো 'হাইড্রোজেন অক্সিডাইজিং ব্যাকটেরিয়া ইন ওয়েটল্যাসনেস অ্যাজ আ সোর্স অফ নিউট্রিশন' (Hydrogen Oxidizing Bacteria In Weightlessness As a source of Nutrition)। এটি ইএসএ-এর টেরা নোভা এক্সপ্লোরেশন প্রোগ্রামের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। মূল কার্যক্রমের কেন্দ্রে রয়েছে সোলার ফুডসের গ্যাস ফার্মেন্টেশন প্রযুক্তিকে এমনভাবে পরিবর্তন করা, যাতে এটি মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে কার্যকরভাবে কাজ করতে পারে। এই প্রযুক্তির বিশেষত্ব হলো, এটি প্রচলিত কৃষিজ ইনপুট ছাড়াই বাতাস এবং বিদ্যুৎ ব্যবহার করে প্রোটিন উৎপাদন করে, যা মহাকাশযানের মতো সীমিত স্থানে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে সক্ষম।

এই অংশীদারিত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) পরীক্ষামূলকভাবে একটি ক্ষুদ্র আকারের সোলিন উৎপাদন ব্যবস্থা স্থাপন করা। এই সিস্টেমে মহাকাশযানের আবাসের মধ্যে সহজে প্রাপ্ত হাইড্রোজেন এবং কার্বন ডাই অক্সাইড ব্যবহার করে সোলিন তৈরি করা হবে। এর প্রধান লক্ষ্য হলো পৃথিবী থেকে বারবার রসদ পাঠানোর প্রয়োজনীয়তা হ্রাস করা এবং মহাকাশচারীদের খাদ্যের জন্য স্থানীয়ভাবে উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। বর্তমানে মানবজাতির দীর্ঘমেয়াদী মহাকাশ অনুসন্ধানের দিকে ক্রমবর্ধমান মনোযোগের কারণে এই উদ্ভাবন অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।

প্রকল্পটি দুটি পর্যায়ে বিভক্ত। প্রথম আট মাসের পর্যায়ে একটি স্থল-ভিত্তিক 'বিজ্ঞান মডেল' তৈরি করা হবে, যা মাইক্রোগ্র্যাভিটিতে গ্যাস ফার্মেন্টেশন সংক্রান্ত মূল প্রযুক্তিগত প্রশ্নগুলির উত্তর দেবে। এই পর্যায় সফল হলে, পরবর্তী ধাপে আইএসএস-এ পরীক্ষার জন্য একটি 'ফ্লাইট মডেল' তৈরি ও উৎক্ষেপণ করা হবে। সোলার ফুডসের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, স্পেস অ্যান্ড ডিফেন্সের আর্টু লুক্কানেন উল্লেখ করেছেন যে, এটিই প্রথমবার হবে যখন তারা মহাকাশে তাদের প্রযুক্তির কার্যকারিতা যাচাই করতে পারবেন। এই প্রযুক্তিগত অভিযোজন মহাকাশযান বা চন্দ্র ঘাঁটিতে সরাসরি খাদ্য উৎপাদনের পথ প্রশস্ত করছে, যা মিশনের স্বনির্ভরতা বাড়াতে সহায়ক হবে।

উৎসসমূহ

  • Space.com

  • Solar Foods to develop Solein® production technology for testing onboard the International Space Station

  • Solar Foods signs MoUs for 6,000 tonnes of Solein

  • Solar Foods produces first Solein-based product

  • Solar Foods announces an investment plan for Europe's single largest emission reduction moonshot project

  • Solar Foods secures $10.6M grant for commercial plant development

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।