জাতিসংঘের এক প্রতিবেদন অনুসারে, জলবায়ু পরিবর্তনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে ৷ এটি পরিবেশ সুরক্ষার পাশাপাশি উন্নত ভবিষ্যতের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ।
সৌর ও বায়ু বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে । সৌরশক্তির খরচ জীবাশ্ম জ্বালানির তুলনায় ৪১% এবং বায়ুশক্তির খরচ ৫৩% কম । ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে সরকারগুলোকে নীতি ও সম্পদ সমন্বিত করতে হবে ।
ইন্টারন্যাশনাল রিনিউয়েবল এনার্জি এজেন্সি (IRENA) ২০২৪ সালে নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা ১৫% বৃদ্ধি পাওয়ার কথা জানিয়েছে । তবে এক্ষেত্রে আঞ্চলিক বৈষম্য এখনো বিদ্যমান । নতুন উৎপাদন ক্ষমতার ৭১% এশিয়া, ১২.৩% ইউরোপ এবং ৭.৮% উত্তর আমেরিকায় হয়েছে ।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস জ্বালানি নিরাপত্তা অর্জনে নবায়নযোগ্য শক্তির ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন । ফ্রান্সেস্কো লা ক্যামেরা টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য বিনিয়োগের ব্যবধান কমানোর কথা বলেছেন ।
বিভিন্ন দেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে । সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য শক্তি থেকে ৫০০ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে ।
নবায়নযোগ্য শক্তিকে শুধু একটি সম্পদ হিসেবে নয়, সংযোগ স্থাপনকারী এবং জীবনের ধারক হিসেবে বিবেচনা করা যায় ।
নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রকারভেদ
সৌর শক্তি
বায়ু শক্তি
জৈব শক্তি
সমুদ্র শক্তি
ভূ-তাপ শক্তি
জলবিদ্যুৎ
শহুরে আবর্জনা
হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল
নবায়নযোগ্য জ্বালানি পরিবেশবান্ধব এবং কার্বন নিঃসরণ মুক্ত । জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং একটি টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থায় পৌঁছানোর জন্য নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারের বিকল্প নেই ।