চীনের স্মার্ট পোর্টগুলি বিশ্ব বাণিজ্যের উন্নতিতে প্রযুক্তির ব্যবহার করছে
চীন তার বন্দরগুলিতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিশ্ব বাণিজ্যের উন্নতি ঘটাচ্ছে । এই স্মার্ট পোর্টগুলি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), ইন্টারনেট অফ থিংস (IoT), অটোমেশন এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ব্যবহার করে বন্দরের কর্মক্ষমতা বাড়াচ্ছে ।
স্মার্ট পোর্টগুলির বৈশিষ্ট্য
স্বয়ংক্রিয় ক্রেন এবং পরিবহন যান ব্যবহার করা হয় ।
কন্টেইনার ওঠানো-নামানোর কাজ দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে করার জন্য সেন্সর ব্যবহার করা হয় ।
পরিবেশ-বান্ধব বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা রয়েছে ।
বিভিন্ন বন্দর বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। তিয়ানজিন বন্দরকে বিশ্বের প্রথম বুদ্ধিমান জিরো-কার্বন টার্মিনাল হিসাবে তৈরি করা হয়েছে । এই টার্মিনালটি 5G, এআই এবং বেইডু নেভিগেশন সিস্টেমের মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করে ।
শানডং প্রদেশের ইয়ানতাই বন্দরে স্বয়ংক্রিয় যানবাহন ব্যবহার করা হয়, যা লিডার (LIDAR) এবং রাডার দিয়ে সজ্জিত । নিংবো-ঝাউশান বন্দর উচ্চ-দক্ষ ক্রেন ব্যবহার করে ।
কর্মক্ষমতা এবং দক্ষতা বৃদ্ধি
স্মার্ট পোর্টগুলির কারণে বন্দরের কর্মক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে । তিয়ানজিন বন্দরের একটি স্মার্ট টার্মিনাল একক গ্যান্ট্রি ক্রেনের অপারেটিং দক্ষতা 40% এর বেশি বাড়িয়েছে এবং শ্রম খরচ 60% কমিয়েছে । রিজাও বন্দরে, স্বয়ংক্রিয় টার্মিনালের কারণে কন্টেইনার ওঠানো-নামানোর ক্ষমতা ১৫% বৃদ্ধি পেয়েছে ।
চীনের পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মতে, চীনে বর্তমানে ১৮টি স্বয়ংক্রিয় কন্টেইনার টার্মিনাল রয়েছে এবং আরও ২৭টি নির্মাণ বা সংস্কার করা হচ্ছে ।
পরিবেশের উপর প্রভাব
স্মার্ট পোর্টগুলি পরিবেশের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে । তিয়ানজিন বন্দর প্রতি বছর প্রায় 90 মিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘণ্টা সবুজ বিদ্যুৎ উৎপাদন করে, যা প্রায় 75,000 টন কার্বন নিঃসরণ কমাতে সাহায্য করে ।
ভবিষ্যতের পরিকল্পনা
চীনের পরিবহন মন্ত্রণালয় ২০২৭ সালের মধ্যে বন্দর এবং নৌপথের ডিজিটালাইজেশন বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে । ২০৩০ সালের মধ্যে ৭০% এর বেশি বন্দরকে স্মার্ট হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে । স্মার্ট পোর্ট অবকাঠামোতে বিনিয়োগ বাড়ছে, যা এই খাতে চীনের মনোযোগের পরিচয় ।
স্মার্ট পোর্টগুলি চীনের অর্থনীতি এবং বিশ্ব বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে । এই বন্দরগুলি কেবল কর্মক্ষমতা বাড়াচ্ছে না, পরিবেশ সুরক্ষায়ও অবদান রাখছে ।