যুক্তরাজ্য ২০৫০ সালের মধ্যে নেট-জিরো নির্গমন অর্জনের লক্ষ্যে বায়োমিথেনের ব্যবহার বৃদ্ধিতে মনোযোগ দিচ্ছে । এই উদ্যোগ কার্বন নিঃসরণ হ্রাস, জ্বালানি নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা জোরদার করতে সহায়ক হবে ।
পশু বর্জ্য থেকে মিথেন সংগ্রহ এক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা কার্বন নির্গমনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে । বর্জ্য থেকে উৎপাদিত বায়োমিথেন ডিজেলের তুলনায় ভালো কার্বন তীব্রতা স্কোর অর্জন করতে পারে ।
বায়োমিথেন অবকাঠামো জ্বালানি বিতরণে নমনীয়তা নিয়ে আসে । স্থানীয় গাড়িবহরের জন্য একটি খামার সাইটে সংকুচিত বায়োমিথেন তৈরি করে জ্বালানি কেন্দ্রে পরিণত হতে পারে । শিল্প, পরিবহন এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনে বায়োমিথেনের ব্যবহারকে উৎসাহিত করা হচ্ছে ।
গ্রেট ব্রিটিশ এনার্জি অ্যাক্ট ২০২৫ বায়োমিথেন সহ পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগের জন্য গ্রেট ব্রিটিশ এনার্জি (GBE) প্রতিষ্ঠা করেছে । এই আইনের মাধ্যমে সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের জ্বালানি খাতে একটি বড় পরিবর্তন আনতে কাজ করছে ।
এডিবিএ/বিজনেস মডেলিং অ্যাপ্লিকেশনস-এর বিশ্লেষণ অনুযায়ী, নেট-জিরোর দিকে আরও বেশি সবুজ গ্যাস ব্যবহার করলে ভবিষ্যতের শক্তি সিস্টেমের খরচ থেকে ২৯৮ বিলিয়ন পাউন্ড সাশ্রয় হতে পারে, যা প্রতিটি ব্রিটিশ পরিবারের জন্য বছরে ৪১৫ পাউন্ডের সমান ।
বেনামান বিশ্ব বায়োগ্যাস এক্সপো ২০২৫-এ CAPCH4™ বায়োগ্যাস আপগ্রেডার উন্মোচন করেছে, যা বায়োগ্যাসকে জ্বালানী-গ্রেডের বায়োমিথেনে রূপান্তরিত করে । এই প্রযুক্তি বায়োগ্যাসকে আরও কার্যকরভাবে ব্যবহার করার সুযোগ তৈরি করে ।
বায়োমিথেন নেট-জিরোতে পৌঁছানোর একটি বাস্তবসম্মত পথ খুলে দেয়, যা গ্রামীণ অর্থনীতিকে উন্নত করে । সহায়ক নীতি এবং শিল্প উদ্যোগগুলি এর ব্যবহারকে আরও বাড়িয়ে তুলছে । যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপে বায়োমিথেনের উৎপাদন ক্ষমতা দ্রুত বাড়ছে, যা বর্জ্য থেকে তৈরি হয় এবং বিদ্যমান অবকাঠামো ব্যবহার করে ।