ব্রিটিশ শিল্পী সারাহ ইজেকিল, ৫৯, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এবং আট সেকেন্ডের একটি হোম ভিডিও ক্লিপ ব্যবহার করে তার হারানো কণ্ঠস্বর ফিরে পেয়েছেন। ৩৪ বছর বয়সে অ্যামায়োট্রফিক ল্যাটারাল স্ক্লেরোসিস (ALS) ধরা পড়ার পর, তিনি ২৫ বছর আগে কথা বলার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন। পূর্বে, সারাহ সিন্থেসাইজড স্পিচ প্রযুক্তি ব্যবহার করতেন, কিন্তু এর যান্ত্রিক স্বর তার সন্তানদের স্মৃতিতে থাকা মায়ের আসল কণ্ঠস্বরের সাথে মিলত না।
তার সন্তানরা, অ্যাভিভা এবং এরিক, তাদের মায়ের আসল কণ্ঠস্বর না জেনেই বড় হয়েছে। যুক্তরাজ্যের সহায়ক প্রযুক্তি সংস্থা স্মার্টবক্স, পরিবারটির কাছে সারাহের কণ্ঠস্বর পুনরুদ্ধারের জন্য যোগাযোগ করে। যদিও এক ঘন্টার অডিওর প্রয়োজন ছিল, সারাহ কেবল ৯০-এর দশকের একটি আট সেকেন্ডের বিকৃত হোম ভিডিও ক্লিপ সরবরাহ করেছিলেন।
ElevenLabs-এর AI ব্যবহার করে, স্মার্টবক্স সারাহের কণ্ঠস্বরকে আলাদা করে এবং পুনর্গঠন করে, তার লন্ডনী উচ্চারণ এবং সামান্য তোতলানো ভাবকেও ধরে রাখে। পুনরুদ্ধার করা নমুনা শুনে সারাহ গভীরভাবে আবেগাপ্লুত হন, প্রায় কেঁদেই ফেলেছিলেন।
এই প্রযুক্তিগত অগ্রগতি কেবল সারাহের কণ্ঠস্বরই পুনরুদ্ধার করেনি, বরং পারিবারিক বন্ধনকেও গভীর করেছে। তার সন্তানরা এখন যান্ত্রিক কণ্ঠস্বরের বাধা অতিক্রম করে আরও ব্যক্তিগতভাবে তার সাথে যোগাযোগ করতে পারে। সারাহের কণ্ঠস্বরের এই পুনরুদ্ধার নিউরোডিজেনারেটিভ রোগের জন্য ওষুধ এবং সহায়ক প্রযুক্তিতে AI-এর সম্ভাবনাকে তুলে ধরে, যা জীবনযাত্রার মান এবং যোগাযোগের উন্নতিতে সহায়ক। এই প্রযুক্তিটি কেবল একজন ব্যক্তির কণ্ঠস্বর ফিরিয়ে আনাই নয়, বরং তাদের প্রিয়জনদের সাথে পুনরায় সংযোগ স্থাপনের একটি নতুন পথ খুলে দিয়েছে, যা তাদের জীবনের মান উন্নত করতে সহায়ক।