প্রযুক্তি বিশ্বে অ্যাপলের নতুন আইফোন ১৭ সিরিজ নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য 'অও ড্রপিং' (Awe Dropping) অনুষ্ঠানে অ্যাপল তাদের বহুল প্রতীক্ষিত আইফোন ১৭ সিরিজ উন্মোচন করবে। কুপারটিনোর স্টিভ জবস থিয়েটারে স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় (প্রশান্ত মহাসাগরীয় সময়) এই অনুষ্ঠান শুরু হবে এবং অ্যাপলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট, অ্যাপল টিভি এবং ইউটিউবে সরাসরি সম্প্রচারিত হবে।
আইফোন ১৭ সিরিজে চারটি মডেল থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে: স্ট্যান্ডার্ড আইফোন ১৭, স্লিম ডিজাইনযুক্ত আইফোন ১৭ এয়ার, এবং উচ্চ-প্রান্তের আইফোন ১৭ প্রো ও আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক্স। ধারণা করা হচ্ছে, ১২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার প্রি-অর্ডার শুরু হবে এবং ১৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার থেকে ডিভাইসগুলো বাজারে পাওয়া যাবে।
তবে, যুক্তরাজ্যে নতুন আইফোনের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ কিছুটা কম দেখা যাচ্ছে। সম্প্রতি ২,০০০ জনেরও বেশি ব্রিটিশ নাগরিকের উপর পরিচালিত এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ (৬৪%) প্রথমদিকে আইফোন ১৭ কেনার কথা ভাবছেন না। এছাড়াও, ৮২% উত্তরদাতা মনে করেন নতুন ফোনগুলো অতিরিক্ত ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে। এই প্রবণতা ইঙ্গিত দেয় যে, উচ্চ মূল্য এবং সহজলভ্য সিম-অনলি নেটওয়ার্ক ডিলগুলির কারণে অনেক গ্রাহক তাদের বর্তমান ডিভাইসগুলো দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহার করছেন, যা আইফোন ১৭-এর প্রাথমিক বিক্রিকে প্রভাবিত করতে পারে।
নতুন মডেলগুলোর মধ্যে আইফোন ১৭ এয়ার বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এটি অ্যাপলের তৈরি করা সবচেয়ে পাতলা আইফোন হতে পারে, যার পুরুত্ব প্রায় ৫.৫ থেকে ৫.৬ মিলিমিটারের মধ্যে থাকবে। এতে একটি ৬.৬-ইঞ্চি ওএলইডি ডিসপ্লে থাকবে যা ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট সমর্থন করবে। ক্যামেরা হিসেবে এতে একটি ৪৮ মেগাপিক্সেলের রিয়ার ক্যামেরা এবং একটি নতুন ২৪ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট-ফেসিং ক্যামেরা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। কিছু সূত্রে জানা গেছে, এটি অ্যাপলের নিজস্ব ৫জি মডেম সহ প্রথম আইফোন হতে পারে।
আইফোন ১৭ প্রো এবং প্রো ম্যাক্স মডেলে নতুন এ১৯ প্রো (A19 Pro) চিপসেট, উন্নত ৪৮ মেগাপিক্সেলের রিয়ার ক্যামেরা, এবং আরও ভালো থার্মাল ম্যানেজমেন্টের জন্য ভেপার চেম্বার কুলিং সিস্টেমের মতো ফিচার যুক্ত হতে পারে। প্রো ম্যাক্স মডেলে একটি ৫,০০০ mAh ব্যাটারি থাকারও গুঞ্জন রয়েছে। প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মতে, অ্যাপলের এই নতুন মডেলগুলো কেবল হার্ডওয়্যার আপগ্রেডেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং এটি ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা এবং সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে। যদিও দাম একটি বড় বিষয়, তবুও নতুন প্রযুক্তির প্রতি মানুষের আগ্রহ সবসময়ই থাকে। এই লঞ্চটি অ্যাপলের ভবিষ্যৎ পণ্যের কৌশল এবং বাজারে তাদের অবস্থানকে আরও সুসংহত করবে বলে আশা করা যায়।