অভিনেত্রী সন্দীপা ধর তাঁর নতুন মিউজিক ভিডিও 'নাফরাত' (Nafrat) প্রকাশের মাধ্যমে সঙ্গীত জগতে আবারও নিজের উপস্থিতি জোরালোভাবে জানান দিলেন। এই প্রকল্পটি মূলত দর্শন রাওয়ালের কণ্ঠস্বরের গভীর অভিব্যক্তি দ্বারা সমৃদ্ধ, যা শিল্পীর চিরাচরিত অভিনয় দক্ষতার বাইরে তাঁর বহুমুখী প্রতিভা উন্মোচন করেছে। সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত এই ভিডিওটি শিল্প মহলে তাৎক্ষণিক ও ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করেছে, যা নাটকীয় শিল্পকে সঙ্গীতের উদ্দীপনার সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার সন্দীপীর ক্ষমতাকে তুলে ধরে।
‘নাফরাত’-এর দৃশ্যপট নির্মিত হয়েছে সন্দীপা ধরের অসাধারণ কোরিওগ্রাফিক দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে। তিনি প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একজন পেশাদার নৃত্যশিল্পী। ছন্দ এবং অনুভূতির সঙ্গে তাঁর সাবলীল গতির মিশ্রণ কেবল একটি অলঙ্কার নয়, বরং এটি গল্পের অপরিহার্য অংশ হিসেবে কাজ করেছে। দর্শন রাওয়ালের কণ্ঠের সঙ্গে এই নৃত্যশৈলীর যুগলবন্দী একটি সিনেমাটিক সংলাপের জন্ম দেয়, যেখানে সঙ্গীত ও শারীরিক ভাষা আবেগ প্রকাশ করে—প্রেম, দুর্বলতা এবং সেই দুর্বলতা অতিক্রম করার শক্তি সম্পর্কে কথা বলে।
সন্দীপা ধর মন্তব্য করেছেন যে রাওয়ালের সঙ্গীত তাঁকে গানটির মূল ভাবনাকে আরও গভীরভাবে অনুভব করতে সাহায্য করেছে। তিনি বলেন: "প্রত্যেকটি সুর যেন আমার গতিকে পথ দেখিয়েছে, নৃত্যকে হৃদয়ের সংলাপে রূপান্তরিত করেছে।" বিশেষ করে একটি জটিল মঞ্চস্থ দৃশ্য সবার নজর কেড়েছে, যেখানে কোরিওগ্রাফি আবেগিক ক্যাথারসিসের রূপ নেয়—যা নায়িকার অভ্যন্তরীণ কষ্টের শারীরিক প্রতিচ্ছবি।
এই ভিডিওটির নির্মাণশৈলীকে সিনেমাটিক এবং কাব্যিক হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে, যেখানে ধর নিজেই শৈল্পিক ধারণার কেন্দ্রবিন্দু। এই দৃশ্যমান আখ্যানে তিনি কেবল একজন অভিনেত্রী বা নৃত্যশিল্পী নন—তিনি একজন গল্পকথক, যিনি গতি এবং দৃষ্টির মাধ্যমে কাহিনিকে দর্শকের কাছে পৌঁছে দেন। এই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি আধুনিক ভারতীয় শিল্প জগতে অন্যতম বহুমুখী শিল্পী হিসেবে তাঁর অবস্থানকে আরও দৃঢ় করেছে।
‘নাফরাত’ মিউজিক ভিডিওটি ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে, যা চলচ্চিত্র তারকা এবং জনপ্রিয় সঙ্গীতজ্ঞদের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রবণতাকে নিশ্চিত করে। দর্শন রাওয়াল, যিনি তাঁর সুরের সংবেদনশীলতা এবং আবেগিক উন্মুক্ততার জন্য সুপরিচিত, তিনি আবারও এমন একটি ট্র্যাক তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন যা শ্রোতাদের হৃদয়ে অনুরণিত হয়। এই প্রকল্পে মূর্ত হওয়া দৃশ্যগত এবং বাদ্যযন্ত্রের সংমিশ্রণ প্রমাণ করে: সঙ্গীত এবং গতি একীভূত স্পন্দন হতে পারে, যা দর্শকদের মধ্যে সবচেয়ে আন্তরিক অনুভূতি জাগিয়ে তুলতে সক্ষম।