অসমের জনপ্রিয় শিল্পী জয় বরুয়া 'কসমিক র্যাপসোডি' অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ গান 'স্টার অ্যামাং দ্য কসমিক ক্লাউডস'-এর রক সংস্করণ প্রকাশ করেছেন। এই গানটি রয়্যাল ফিলহারমোনিক অর্কেস্ট্রার সঙ্গীতশিল্পীদের সাথে অ্যাবি রোড স্টুডিওতে রেকর্ড করা হয়েছে এবং এটি ৩ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখে সাইগনম রেকর্ডসে বিশ্ব মহাকাশ সপ্তাহকে (World Space Week) কেন্দ্র করে প্রকাশিত হয়েছে।
'কসমিক র্যাপসোডি' চলচ্চিত্রের সাউন্ডট্র্যাকের অংশ এই গানটি, যা নাসা-র ২০২০ সালের ক্রু ড্রাগন মিশন দ্বারা অনুপ্রাণিত। চলচ্চিত্রটি মানবজাতির মহাকাশ অনুসন্ধানের প্রতীক হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। গানটির অর্কেস্ট্রা সংস্করণে রয়্যাল ফিলহারমোনিক অর্কেস্ট্রা, লন্ডন ভয়েসেস এবং কণ্ঠশিল্পী কিলিয়ান ডোনলি অংশ নিয়েছেন।
এই গানটির আরও দুটি সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে। মে ২০২৫ সালে 'লিম কসমিক র্যাপসোডি ফর পিয়ানো অ্যান্ড অর্কেস্ট্রা' অ্যালবামের জন্য একটি অর্কেস্ট্রা রেকর্ডিং প্রকাশিত হয়েছিল, যেখানে টেনর কিলিয়ান ডোনলি এবং পিয়ানোবাদক জ্যাঁ-ইভ থিবোদে অংশ নিয়েছিলেন। এছাড়াও, বারবিকান কনসার্ট হলে টম বল এবং রয়্যাল ফিলহারমোনিক অর্কেস্ট্রার সাথে একটি লাইভ পারফরম্যান্স অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
'কসমিক র্যাপসোডি' প্রকল্পটি বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং সৃজনশীলতার এক অসাধারণ মেলবন্ধন। এটি মহাকাশ অনুসন্ধান, মানবজাতির সহনশীলতা এবং উদ্ভাবনের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। নাসা-র ২০২০ সালের ক্রু ড্রাগন মিশনের অনুপ্রেরণায় নির্মিত এই চলচ্চিত্রটি মহাকাশে মানবজাতির যাত্রা এবং পৃথিবীর পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য নতুন সমাধানের সন্ধানকে তুলে ধরে। এছাড়াও, এটি মানুষ ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মধ্যে অংশীদারিত্বের বিষয়টিও অন্বেষণ করে। এই প্রকল্পটি কেবল বিনোদনই নয়, এটি আমাদের নিজেদের গ্রহকে রক্ষা করার এবং মহাকাশের অসীম সম্ভাবনার অন্বেষণ করার জন্য একটি আহ্বান।
বিশ্ব মহাকাশ সপ্তাহের সাথে সামঞ্জস্য রেখে 'কসমিক র্যাপসোডি' গানটি মহাকাশ অনুসন্ধানের মাধ্যমে মানবজাতির অসীম সম্ভাবনা এবং সৃজনশীলতাকে উদযাপন করে। এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, আমরা কেবল এই পৃথিবীরই নই, বরং মহাজাগতিক বিশালতার অংশ। এই গানটি আমাদের কল্পনাকে প্রসারিত করে এবং আমাদের নিজেদের অস্তিত্বের গভীরতা বুঝতে সাহায্য করে। এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, আমরা সবাই মহাজাগতিক মেঘের মধ্যে নক্ষত্রের মতো, যার প্রত্যেকেরই নিজস্ব আলো এবং সম্ভাবনা রয়েছে।
সার্জন সুসান লিম এবং নিউরোলজিস্ট ক্রিস্টিনা টিনজ ট্যান দ্বারা নির্মিত, সুরকার মানু মার্টিনের সঙ্গীত সহ এই সঙ্গীতকর্মটি শিল্প ও বিজ্ঞানের সমন্বয়ের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ। ALAN ট্রিলজির অংশ এই রচনাটি তুলে ধরে যে কীভাবে সঙ্গীত জটিল ধারণা প্রকাশ করতে এবং ইতিবাচক পরিবর্তনকে অনুপ্রাণিত করতে পারে, যা মানুষের কল্পনার সীমাহীন সম্ভাবনা এবং অজানাকে জানার আকাঙ্ক্ষাকে প্রদর্শন করে।