প্যারিসের আর্ট গ্যালারিতে পুতিনের কথিত কন্যা: যুদ্ধের বিরুদ্ধে শিল্পের প্রকাশ

সম্পাদনা করেছেন: Татьяна Гуринович

এলিজাভেতা ক্রিভোনোগিখ, যিনি লুয়িজা রোজোভা নামেও পরিচিত, বর্তমানে প্যারিসের দুটি আর্ট গ্যালারিতে কাজ করছেন। এই গ্যালারিগুলো যুদ্ধবিরোধী শিল্পকর্ম প্রদর্শনের জন্য পরিচিত। জুন ২০২৫ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিনি বেলভিলের এল গ্যালারি এবং মন্ট্রিউইলের ইস্পাস আলবাতরোসে কর্মরত আছেন। ২০০৩ সালে জন্মগ্রহণকারী এলিজাভেতা ক্রিভোনোগিখকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং সভেতলানা ক্রিভোনোগিখের কন্যা বলে ব্যাপকভাবে অনুমান করা হয়। প্রেসিডেন্টের সাথে তার সংযোগ জনসাধারণের আগ্রহ এবং তদন্তের একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

যে গ্যালারিগুলিতে তিনি কাজ করছেন বলে জানা গেছে, সেগুলি সমসাময়িক শিল্পীদের, বিশেষ করে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের শিল্পীদের কাজ প্রদর্শন করে, যারা চলমান সংঘাত নিয়ে কাজ করেন। এই নির্দিষ্ট শিল্পক্ষেত্রে এলিজাভেতার উপস্থিতি ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতা এবং রাজনৈতিক মন্তব্যের বিষয়ে আলোচনা তৈরি করেছে। রাশিয়ান শিল্পী নস্ত্যা রডিওনোভা, যিনি ২০২২ সালে ফ্রান্স পালিয়ে এসেছিলেন, তিনি এই তথ্য প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান যে এলিজাভেতা এল গ্যালারি এবং স্টুডিও আলবাতরোসের মতো প্যারিসের দুটি আর্ট গ্যালারিতে ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছেন। এই গ্যালারিগুলো যুদ্ধবিরোধী বার্তা বহনকারী শিল্পকর্ম প্রদর্শনের জন্য পরিচিত। রডিওনোভা আরও বলেন যে তিনি এলিজাভেতার কাজের সাথে যুক্ত শিল্পীদের মধ্যে কয়েকজনের সাথে পরিচিত, এবং তাদের অনেকেই জানতেন না যে তারা কার সাথে কাজ করছেন। এলিজাভেতা ক্রিভোনোগিখের মা, সভেতলানা ক্রিভোনোগিখ, ২০২৩ সালে যুক্তরাজ্য সরকার কর্তৃক নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসেন। তাকে রাশিয়ার ব্যাংক রোসিয়া এবং ন্যাশনাল মিডিয়া গ্রুপের শেয়ারহোল্ডার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, যা ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার আক্রমণকে ধারাবাহিকভাবে প্রচার করে। এলিজাভেতার কাজের স্থানগুলি, যেমন এল গ্যালারি এবং ইস্পাস আলবাতরোস, সমসাময়িক শিল্পকলার জগতে গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়। এই গ্যালারিগুলি প্রায়শই রাশিয়ান এবং ইউক্রেনীয় শিল্পীদের কাজ প্রদর্শন করে, যারা তাদের শিল্পের মাধ্যমে যুদ্ধের ভয়াবহতা এবং শান্তির আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেন। এই ধরনের শিল্পকর্মগুলি প্রায়শই দর্শকদের যুদ্ধের প্রভাব এবং মানবিক মূল্য সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তা করতে উৎসাহিত করে। শিল্প ইতিহাস জুড়ে, শিল্পীরা যুদ্ধের বিরুদ্ধে তাদের প্রতিবাদের একটি মাধ্যম হিসেবে শিল্পকে ব্যবহার করেছেন, যা সমাজের উপর গভীর প্রভাব ফেলেছে। এলিজাভেতার এই কর্মক্ষেত্রটি যুদ্ধের বিরুদ্ধে শিল্পের শক্তিশালী বার্তার একটি প্রতিফলন।

উৎসসমূহ

  • The Inquisitr

  • The Moscow Times

  • Meduza

  • The Economic Times

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।