মিষ্টি ওয়াফেলের একটি সুস্বাদু বিকল্প হলো নোনতা ওয়াফেল, যা একটি খাবার বা জলখাবার হিসেবে কাস্টমাইজ করার সুযোগ দেয়। এই ওয়াফেলগুলি তৈরি করা সহজ এবং বিভিন্ন টপিংয়ের সাথে পরিবেশন করা যেতে পারে, যা এগুলিকে একটি বহুমুখী খাবারে পরিণত করে।
ওয়াফেলের ব্যাটার ডিম, ময়দা, দুধ, পালং শাক, বেকিং পাউডার, লবণ, মাখন এবং ঐচ্ছিকভাবে চিজ দিয়ে তৈরি করা হয়। পালং শাক যোগ করলে ওয়াফেলগুলিতে একটি সবুজ রঙ এবং অতিরিক্ত পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়। অনেক রেসিপিতে পালং শাকের সাথে চিজ, যেমন চেডার বা পারমেসান ব্যবহার করা হয়, যা ওয়াফেলকে একটি সমৃদ্ধ স্বাদ দেয়। এছাড়া, বেকন, পেঁয়াজ, এবং বিভিন্ন মশলাও ব্যাটারে যোগ করা যেতে পারে।
ঐতিহ্যগতভাবে, ওয়াফেলের ইতিহাস প্রাচীন গ্রীস থেকে শুরু হয়, যেখানে 'obelios' নামে পরিচিত ফ্ল্যাট কেক তৈরি করা হত। মধ্যযুগে, এগুলি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত হত এবং পরে ইউরোপ জুড়ে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, টমাস জেফারসন ১৭৮৯ সালের দিকে ওয়াফেল আয়রন নিয়ে আসেন, যা ওয়াফেল পার্টিগুলির প্রচলন শুরু করে। ১৯৩০-এর দশকে ইনস্ট্যান্ট ওয়াফেল মিক্সের উদ্ভাবন এবং পরে ফ্রোজেন ওয়াফেলের বাণিজ্যিকীকরণ ওয়াফেলকে একটি সহজলভ্য খাবারে পরিণত করে।
ওয়াফেলগুলি তৈরি করার জন্য, ব্যাটারের উপাদানগুলি মিশিয়ে ওয়াফেল আয়রনে বেক করতে হয়। প্রস্তুত প্রণালীর মধ্যে রয়েছে ডিম, ময়দা, দুধ, পালং শাক, বেকিং পাউডার, লবণ এবং মাখন একসাথে মেশানো। পালং শাক যোগ করার আগে এটিকে ভালোভাবে জল ঝরিয়ে নিতে হয়, যাতে ব্যাটার বেশি পাতলা না হয়ে যায়। এরপর মিশ্রণটি ওয়াফেল আয়রনে দিয়ে সোনালী ও মচমচে হওয়া পর্যন্ত বেক করা হয়।
পরিবেশনের জন্য, ওয়াফেলগুলির উপর অ্যাভোকাডো, ক্রিম চিজ, স্মোকড স্যালমন, হ্যাম, বা ডিমের মতো বিভিন্ন টপিং ব্যবহার করা যেতে পারে। একটি জনপ্রিয় কম্বিনেশন হলো অ্যাভোকাডো, টমেটো, এবং ধনে পাতা দিয়ে তৈরি একটি টপিং। এছাড়া, চিজ, বেকন, এবং পেঁয়াজ দিয়ে তৈরি নোনতা ওয়াফেলগুলিও খুব জনপ্রিয়। যারা একটু মশলাদার পছন্দ করেন, তারা জলাপিনো এবং চেডার চিজ দিয়ে তৈরি ওয়াফেল চেষ্টা করতে পারেন। পালং শাক এবং ফেটা চিজের মিশ্রণও একটি চমৎকার বিকল্প।
এই বহুমুখী রেসিপিটি সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার বা রাতের খাবারের জন্য একটি চমৎকার পছন্দ হতে পারে। এটি একটি পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু খাবার যা সহজেই তৈরি করা যায় এবং বিভিন্ন উপায়ে পরিবেশন করা যায়।