মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং মানসিক কুয়াশা দূর করতে সুষম খাদ্য গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। কিছু নির্দিষ্ট খাবার মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি ও স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। সবুজ শাকসবজি, যেমন পালং শাক ও কেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন (বিশেষ করে বি ভিটামিন, ভিটামিন কে এবং ফোলেট) ও খনিজ পদার্থে ভরপুর। এই পুষ্টি উপাদানগুলো মস্তিষ্কের বার্ধক্যজনিত সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত সবুজ শাকসবজি খান, তাদের মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ১১ বছর কম বয়সীদের মতো থাকে। প্রতিদিন এক বাটি সবুজ শাকসবজি খাওয়া মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
বিভিন্ন ধরনের বেরি, যেমন ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি ও রাস্পবেরি, ফ্ল্যাভোনয়েড নামক শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। এই ফ্ল্যাভোনয়েডগুলো মস্তিষ্কের কোষকে অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং স্মৃতিশক্তি, শেখার ক্ষমতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের মতো জ্ঞানীয় দক্ষতা উন্নত করে। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন বেরি খেলে মানসিক প্রক্রিয়াকরণের গতি বৃদ্ধি পায় এবং এটি মস্তিষ্কের বার্ধক্যজনিত সমস্যা প্রতিরোধেও সহায়ক। চর্বিযুক্ত মাছ, যেমন স্যামন, ম্যাকেরেল ও সার্ডিন, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের চমৎকার উৎস। এই ফ্যাটি অ্যাসিডগুলো মস্তিষ্কের কোষের গঠন ও কার্যকারিতা বজায় রাখতে অপরিহার্য। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্কের কোষের মধ্যে সংযোগ স্থাপন এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, যা জ্ঞানীয় ক্ষমতা হ্রাস প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত চর্বিযুক্ত মাছ খেলে স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ এবং মেজাজ উন্নত হতে পারে। পর্যাপ্ত জল পান করাও মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত জরুরি। এমনকি সামান্য ডিহাইড্রেশনও মনোযোগ এবং স্মৃতিশক্তির উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। পর্যাপ্ত জল পান করলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত হয়, ক্লান্তি কমে এবং মেজাজ ভালো থাকে। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা উচিত, যা প্রায় ২ লিটার।