বিখ্যাত মিশরীয় চলচ্চিত্র সমালোচক তারেক আল-শেনাওয়ি নবনির্মিত চলচ্চিত্র ‘ফিহা এহ ইয়ানি’ (এর মানে কী?)-কে একটি স্বতন্ত্র ও সাহসী সিনেমাটিক অভিজ্ঞতা হিসেবে প্রশংসা করেছেন। তিনি ছবিটির পরিশীলিত নির্মাণশৈলী এবং বিভিন্ন আবেগকে জাগিয়ে তোলার ক্ষমতার উপর জোর দিয়েছেন। আল-শেনাওয়ি, যিনি প্রায় তিন দশক ধরে মিশরীয় সিনেমার একজন প্রভাবশালী কণ্ঠস্বর হিসেবে পরিচিত, তিনি এই চলচ্চিত্রটিকে একটি ‘সাহসী এবং গভীর মিশরীয় চলচ্চিত্র’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন যা দর্শকদের কাঁদাবে, আনন্দ দেবে এবং হাসাবে।
মাগদ আল-কেদওয়ানি, গাদা আদেল, আসমা গালাল এবং মোস্তফা গরিব অভিনীত এই ছবিটি ওমর রোশদি হামেদের পরিচালনায় প্রথম কাজ। ওমর রোশদি হামেদ পূর্বে ‘এল-গেজিরা’, ‘ওয়েলাদ এল-আম’, ‘আনসাফ মাজানেন’ এবং ‘বিম্বো’-এর মতো সফল চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। [১, ২, ৩, ৪] একটি রোমান্টিক কমেডি হিসেবে, ‘ফিহা এহ ইয়ানি’ প্রেমের সর্বজনীন থিমকে তুলে ধরেছে, যেখানে বলা হয়েছে যে প্রেম যেকোনো বয়সে মানুষকে খুঁজে পেতে পারে। ছবির গল্পে দেখা যায় এক অবসরপ্রাপ্ত হিসাবরক্ষক তার অতীতের ভালোবাসার মানুষের সাথে পুনরায় মিলিত হন।
এই ছবিটি মিশরীয় প্রেক্ষাপটে তৈরি এবং এটি ১৪০ মিনিটের। এটি মিশরীয় সিনেমা জগতে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে, যেখানে গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে ভিন্নধর্মী গল্প বলার চেষ্টা করা হয়েছে। চলচ্চিত্রটি ১ অক্টোবর, ২০২৫-এ মিশরীয় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে এবং ধারণা করা হচ্ছে যে অক্টোবর মাসের শেষ নাগাদ এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে পাওয়া যাবে।
এই ছবিটি কেবল বিনোদনই দেবে না, বরং দর্শকদের মনে গভীর অনুভূতির সঞ্চার করবে এবং জীবনের নানা দিক নিয়ে ভাবনার খোরাক যোগাবে। ওমর রোশদি হামেদ, যিনি পূর্বে ‘এল-গেজিরা’, ‘ওয়েলাদ এল-আম’ এবং ‘আনসাফ মাজানেন’ এবং ‘বিম্বো’-এর মতো সফল চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন, তার এই প্রথম পরিচালনায় ছবিটি সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। [১, ২] ‘ফিহা এহ ইয়ানি’ মিশরীয় সিনেমার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন, যা এর শক্তিশালী অভিনয়, মর্মস্পর্শী গল্প এবং উচ্চমানের নির্মাণশৈলীর জন্য প্রশংসিত হয়েছে। এটি প্রমাণ করে যে মিশরীয় চলচ্চিত্র শিল্প নতুন প্রতিভার উত্থান এবং উদ্ভাবনী গল্পের মাধ্যমে বিশ্ব মঞ্চে নিজেদের স্থান করে নিতে সক্ষম।